নাগরাকাটা: গেট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও পদক্ষেপের আগে ভুটানের আধিকারিকদের কাছে সময় চাইলেন নাগরাকাটার (Nagrakata) জিতি সীমান্তের বাসিন্দারা। পাশাপাশি জিতির পুরোনো গেটটি যাতে খুলে দেওয়া হয় এমন আর্জিও রাখা হয়েছে ভুটানের কাছে। বৃহস্পতিবার ভুটান প্রশাসনের (Bhutan administration) আধিকারিকদের সঙ্গে স্থানীয়দের আলোচনায় গেট সংক্রান্ত নানা বিষয় উঠে আসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর (Sanjay kujur) সহ সশস্ত্র সীমা বলের আধিকারিকরাও।
সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘জিতির বাসিন্দারা চাইছে পুরোনো গেট খুলে দেওয়া হোক। তাতে দু’দেশের বাসিন্দারাই উপকৃত হবেন। ভুটানের সামচি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। কোনও পদক্ষেপের আগে ভুটানের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। দ্রুত জলপাইগুড়ির জেলা শাসককে সমস্ত কিছু চিঠি লিখে জানাব।’ গত মঙ্গলবার ওই সীমান্তে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা (John Barla)। এদিন তিনি সেখানে উপস্থিত না থাকলেও টেলিফোনে উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বলেন, ‘জিতির বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার কথা কেন্দ্র সরকারের যথাস্থানে চিঠি লিখে জানাব।’
ভুটানের যে গেটটি নিয়ে জিতি সীমান্তের বাসিন্দারা বেশ কিছুদিন ধরে সরব হয়ে আসছেন সেটি করোনা পরিস্থিতির আগে খোলাই ছিল। ওই গেট দিয়ে দু’দেশের বাসিন্দাদের যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলত। বর্তমানে ভুটানের তরফে সীমান্ত বরাবর তারজালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। জিতিতে একটি গেট খোলা হলেও সেটি পুরোনো গেটের থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে গহেরা লাইন নামে একটি স্থানে।
এদিনের আলোচনায় খুব অল্প সময়ের জন্য আসেন নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা (Puna Bhengra)। ভুটান প্রশাসনের তরফে ছিলেন সামচি জেলার জেলা শাসক(জোংদা) মিনজুর দর্জি, সেখানকার পুলিশ সুপার লেনড্রুপ দর্জি সহ মহকুমা শাসক (ডুম্পা) পদমর্যাদার প্রশাসনিক আধিকারিক ও অন্যান্য পুলিশ কর্তারা।