চোপড়া: চোপড়ায় আক্রান্ত আদিবাসীদের সঙ্গে দেখা করলেন ভাঙরের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। শনিবার চোপড়া থানার আমবাড়ির লোধাবাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপরই আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ান নওশাদ। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী শুধু আদিবাসী দিবসে জয় জোহর বলে অনুষ্ঠান করলেও বাস্তবে চিত্র আলাদা। এখানে আক্রান্তরা না খেয়ে আছেন। আদিবাসীদের উচ্ছেদের নামে তাণ্ডব চলেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কোথায়?’ এ নিয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান আইএসএফ নেতা। বিষয়টি তিনি বিধানসভায় তুলবেন বলেও জানিয়েছেন। এই হামলা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় চলেছে বলে অভিযোগ তোলেন আইএসএফ নেতা। বিষয়টি নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। এখানে দলের কেউ যুক্ত নন। পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’
চোপড়ার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি-লোধাবাড়ি এলাকায় পেয়ারিলাল টি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড চা বাগানের দখল করাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস ধরে ঝামেলা চলছে। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ব্লক কমিটি থেকে বাগান বিক্রির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে চা বাগান মালিকের সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আমবাড়ি এলাকা। পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি, তির, পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে জখম হন উভয়পক্ষের মোট ১৪ জন। এমনকি, বাগান চত্বরের ওই মহল্লায় একাধিক ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগও ওঠে।
এদিন আক্রান্ত আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন নওশাদ। পাশাপাশি, তাঁদের দলের তরফে সকলের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ভবিষ্যতে তাঁদের ওপর কেউ হামলা করতে আসবে না বলে আক্রান্তদের আশ্বস্ত করেন নওশাদ।
চোপড়ার কর্মসূচি সেরে এদিন মালদায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল নওশাদের। যদিও শেষ মুহূর্তে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। এদিন আমবাড়ি এলাকাতেই সময় দিচ্ছেন ভাঙরের বিধায়ক।