উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে মদ ও মাদক সেবনের আদর্শ জায়গা তা আরও একবার প্রমাণিত হল শনিবার। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে ওপেন এয়ার থিয়েটার পরিষ্কার করতে গিয়ে সাফাইকর্মীরা দেখলেন সেখানে পড়ে রয়েছে বস্তা বস্তা মদের বোতল। এই সংখ্যাটা মোটেও অবাক করেনি সাফাইকর্মীদের। তাঁদের বক্তব্য, মাঝে মধ্যে এর থেকেও অনেক বেশি মদের বোতল পাওয়া যায় ক্যাম্পাসের ভিতর। একই চিত্র যাদবপুরের মেইন হস্টেলেও। এই খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বললেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে কী হয়েছে বলতে পারব না।’
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রের। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা বাংলা। ছাত্র মৃত্যুতে র্যাগিং-এর ঘটনা সামনে আসে। সামনে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মদ ও মাদক সেবনের একাধিক প্রমাণ। ওই ঘটনার পর শনিবার প্রথমবারের জন্য ওপেন এয়ার থিয়েটার সাফাই করতে যান সাফাই কর্মীরা। সেখানে গিয়ে দেখেন, পড়ে রয়েছে বস্তা বস্তা মদ ও বিয়ারের বোতল।
এক সাফাইকর্মী জানান, প্রতি মাসে একবার করে ওপেন এয়ার থিয়েটার সাফাই হয়। এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি মাসেই এখান থেকে বস্তা বস্তা বিয়ারের বোতল উদ্ধার হয়। এবার বরং একটু কম হয়েছে।
এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে কী হয়েছে তা বলতে পারব না। সেটা তখনকার কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। তবে আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন নিরাপত্তার প্রযোজন কেন? রাজ্যপালও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কী ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাদবপুরে মাদকের প্রবেশ রোখা যায় তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি’।
উপাচার্য আরও জানান, সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা একপ্রকার পাকা। এরজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চারটি দরজায় সিসিটিভি বসবে। সঙ্গে আরও কয়েকটি জায়গায় ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।