রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: পুনরাবৃত্তি। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (NBMCH) ওয়ার্ড থেকে রোগীর কাটা হাত নিয়ে কুকুরের ঘোরার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। শুক্রবার প্রসূতি বিভাগের (Obstetrics Department) বাইরে মহিলার দেহাংশ নিয়ে কুকুরের ঘুরে বেড়ানোর ঘটনায় আবারও একপ্রস্থ চাঞ্চল্য ছড়াল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। এতটা গাফিলতি হওয়া উচিত নয় বলে প্রসূতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত স্বীকার করেছেন। হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বহিরাগতদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘১০-১৫ বছরের কিছু ছেলে প্লাস্টিক ও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ কুড়িয়ে বেড়ায়। এরাই সম্ভবত প্যাকেট থেকে রক্তাক্ত প্লাসেন্টা ফেলে দিয়ে প্লাস্টিকটি নিয়ে গিয়েছে।’
২০২২ সালের মে মাসে শিলিগুড়ির (Siliguri) দুর্গা দাস কলোনির এক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। মেডিকেলে নিয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর ডান হাতের কিছুটা অংশ কেটে বাদ দিতে হয়। ওই অংশটি ওয়ার্ডে রোগীর শয্যার পাশেই রাখা ছিল। পরদিন ভোরে সেই কাটা অংশটি মুখে করে একটি কুকুরকে করিডরে দেখা যায়। সেই ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়।
শুক্রবারের ঘটনা নতুন করে সেই ঘটনাকেই উসকে দিয়েছে। এদিন দুপুরে প্রসূতি বিভাগের বাইরে করিডরে মহিলার রক্তাক্ত প্লাসেন্টা কুকুরকে কামড়ে খেতে দেখা যায়। কী এই প্লাসেন্টা? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে এটি তৈরি হয়। প্লাসেন্টা গর্ভস্থ শিশুকে অক্সিজেন ও পুষ্টি প্রদান করে। শিশুর জন্মের পরপরই প্লাসেন্টাও বেরিয়ে আসে। এগুলি লেবার রুম থেকেই হলুদ প্লাস্টিকে মুড়ে এক জায়গায় রাখা হয়। সেখান থেকে মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহকারী সংস্থা এসে নিয়ে যায়। কিন্তু এদিন কীভাবে কার গাফিলতিতে সেটি করিডরে এল সেই প্রশ্ন উঠছে।