নয়াদিল্লিঃ বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই প্রশ্নচিহ্নের সামনে ছিল এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা৷ বিষয়টি চিন্তায় রেখেছিল বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকেও৷ মারাঠা স্ট্রং ম্যানের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ছে, এই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল বিরোধী জোটের অন্দরেই৷ এই অভিযোগ যে একেবারেই ভিত্তিহীন, তাও নয়, বুঝতে পারছিলেন বিরোধী শিবিরের তাবড় নেতৃত্ব৷ ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতৃত্বের আপত্তি অগ্রাহ্য করে প্রথমে পুনেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে পাওয়ারের উপস্থিত হওয়া, প্রকাশ্যে কয়েক হাজার লোকের সামনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাল্কা হাসি ঠাট্টা করা এবং প্রধানমন্ত্রীর পিঠ চাপড়ে দেওয়ার ঘটনা সবার নজরে আসে৷ এর কয়েকদিন পরে সেই পুণেতেই দলত্যাগী ভাইপো এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের গোপন বৈঠকের খবরও জানাজানি হয়৷ পুণের এই দুটি ঘটনাই শরদ পাওয়ারের অবস্থানকে রীতিমত প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছিল৷
সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবিরের দূত হিসেবে পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত৷ এনসিপি সুপ্রিমোর নিজের মুখেই তাঁর অবস্থান জেনে নেওয়াটাই সঞ্জয় রাউতের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল৷ ইন্ডিয়া জোট সূত্রে দাবি, সঞ্জয় রাউতকে শরদ পাওয়ার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিজেপির হাত ধরছেন না, থাকছেন ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’-র সঙ্গেই৷ একই দাবি করেছেন পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়াও৷ “বাবা ইন্ডিয়া জোটেই থাকছেন”- সূত্রের দাবি এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রথম সারির সাংসদের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সুপ্রিয়া৷ শরদ পাওয়ারকে নিয়ে প্রথমে সঞ্জয় রাউত এবং পরে সুপ্রিয়া সুলের বয়ানের উপরে ভিত্তি করেই আপাতত ইন্ডিয়া জোটে ‘ফিল গুড’ পরিস্থিতি৷