বালুরঘাট: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ছোঁয়া এবার বালুরঘাট রেলস্টেশনে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের তরফে বালুরঘাট রেলস্টেশনে ক্যাশলেস ট্রানজাকশন শুরু হল। গত সোমবার থেকে যাত্রীরা নিমিষেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইউপিআই পেমেন্টের মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারছেন। এমনকি ডেবিট কার্ডের সুবিধাও শুরু করা হয়েছে। এর ফলে টিকিট কাটতে গিয়ে খুচরোর সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
বালুরঘাট স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই খুচরো টাকা নিয়ে সমস্যার কথা শোনা যায় যাত্রীদের মুখে। এমনকি বুকিং কাউন্টারে কর্তব্যরত রেলের কর্মীদের ট্রেন ভাড়া বাবদ টিকিটের খুচরো নিয়ে বেগ পেতে হয়। তাই যাত্রীদের দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দিতে বালুরঘাট রেলস্টেশনে ক্যাশলেস ট্রানজাকশন শুরু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। শুধু রিজার্ভেশন টিকিটের জন্য এই ক্যাশলেস পরিষেবা নয়। সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি অসংরক্ষিত আসনের টিকিটের ক্ষেত্রেও ক্যাশলেস ট্রানজাকশন করতে পারছেন রেলযাত্রীরা। বর্তমানে বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী চারটি ট্রেন চলছে। হাওড়া ছাড়াও শিয়ালদার দুটি চিতপুরের একটি ট্রেন চলছে বালুরঘাট স্টেশন থেকে। তাছাড়াও, নতুন নবদ্বীপ ধাম ট্রেন দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে শিলিগুড়ি যাওয়ার ট্রেন। কলকাতা সহ বিভিন্ন ট্রেনগুলোর ভাড়া ১৬৫ টাকা ২৬৫ টাকা এমনভাবে ধার্য রয়েছে। ফলে যাত্রীরা ভাড়া বাবদ টাকা বুকিং কাউন্টারে দিলে খুচরো টাকা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়তে হয় কর্মীদের। এবার ক্যাশলেস ট্রানজাকশনের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এমনকি ইউপিএস অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে তৎক্ষণাৎ টাকা দিয়ে টিকিটের ডিজিটাল কপি পেয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
কলকাতায় ব্যবসার কাজে মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করতে হয় ত্রিধারার বাসিন্দা শান্তনু সরকারের। তার কথায়, ‘রেলস্টেশনে টিকিট কাটতে গেলে খুচরো টাকা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সব সময় খুচরো টাকা থাকে না। ট্রেনের যাত্রার আগে খারাপ অবস্থা হয়। ইউপিআই ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দেওয়া শুরু হলে আমাদের খুব সুবিধা হবে।’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, ‘কাটিহার ডিভিশনের পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট রেলস্টেশনে গিয়ে যাত্রীরা ক্যাশলেস ট্রানজাকশন করতে চাইলে দ্রুত এই পরিষেবা দেওয়া হবে। তারা মোবাইলে টিকিট পেয়ে যাবেন। এর ফলে যেমন সময় বাঁচবে। তার সঙ্গে খুচরো নিয়ে হয়রানি কমবে।’