বালুরঘাট: প্রতিমা নিরঞ্জনে নয়া ব্যবস্থা বালুরঘাটে। বালুরঘাটের কল্যাণীঘাটে বসানো হচ্ছে হাইড্রোলিক ট্রলি। যার মাধ্যমে খুব সহজেই করা যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন। বালুরঘাট পুরসভার উদ্যোগে এই হাইড্রোলিক ট্রলি বসানো হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারে পুজোর আগেই শেষ হবে সেই কাজ এবং পুজোর প্রতিমা বিসর্জন করা হবে হাইড্রোলিক ট্রলিতে করে। শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাট কল্যাণীঘাটে এই কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক কুমার মিত্র, এমসিআইসি মহেশ পারখ ও অনোজ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এই কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে বালুরঘাট পুরসভা। সম্ভবত উত্তরবঙ্গে এই প্রথম বালুরঘাটে হাইড্রোলিক ট্রলির মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে বলেই বালুরঘাট পুরসভার দাবি।
প্রত্যেক বছর শুধুমাত্র বালুরঘাট শহরেই একশোর বেশি পুজো হয়। যার মধ্যে ক্লাবের পুজো, বারোয়ারী পুজো ও বাড়ির পুজো রয়েছে। শহরে পুলিশ অনুমোদিত ৯২টি পুজো রয়েছে। যার বেশিরভাগই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট বা সদরঘাটে। প্রত্যেক বছর পুজোর পর এই ঘাটকে সাজিয়ে তোলে বালুরঘাট পুরসভা। আলো লাগানো হয় গোটা চত্বরে। পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প, পুলিশ প্রশাসন ও দমকলের ব্যবস্থা করা হয়। এতদিন পর্যন্ত প্রতিমা ট্র্যাক্টর করে এনে তা আত্রেয়ী নদীতে বিসর্জন করা হত। কড়া পুলিশি নজরদারিতে চলে বিসর্জন পর্ব। তবে এমনভাবে বিসর্জন করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেই জায়গা থেকে বালুরঘাট পুরসভার এই উদ্যোগ।
এর আগে কলকাতায় দেখা গিয়েছে সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন পক্রিয়া করার জন্য হাইড্রোলিক ট্রলি ব্যবহার করতে। এর ফলে খুব সহজেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায়। এবং নদী দূষণমুক্ত রাখা যায়। শুধুমাত্র প্রতিমাটি হাইড্রোলিক ট্রলির নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দিতে হয়। তারপর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিমা নদীতে গিয়ে পড়ে। নদীতে প্রতিমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে তুলে ফেলা হয়। যাতে নদীতে দূষণ না ছড়ায়। এই পক্রিয়া প্রতিমা নিরঞ্জন বা বিসর্জন করলে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না এবং খুব দ্রুত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায়।