নাগরাকাটা: চিকিৎসক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে লুকসান প্রাথমিক সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে কিছুক্ষণের জন্য তালা ঝুলিয়ে দিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ঘটনাস্থলে এলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। দ্রুত সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করা হবে এমন আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মোল্লা ইরফান হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসক ছিলেন না এমনটা নয়। প্রাতরাশের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। ব্লকের মোট ডাক্তারের মধ্যে অনেকেই নানা কারণে বাইরে রয়েছেন। যা সমস্যা রয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।‘ মালবাজারের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জয়দ্রথ মণ্ডল বলেন, ‘আগামী সোমবার সেখানে সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কোথাও যদি কোনও সমস্যা থেকে থাকে তা মিটিয়ে ফেলা হবে।‘ জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার বলেন, ‘দুই জন ডাক্তার যাতে সেখানে থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।‘
জানা গিয়েছে, এদিন বিক্ষোভের সূত্রপাত সকালে। বহির্বিভাগে দেখাতে এলে ডাক্তার না পেয়ে রোগীদের একাংশ তুমুল ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে সেখানে কর্তব্যরত এক ডাক্তার এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ভোলা বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঝাঁ চকচকে ভবনই সার। যখনই কেউ আসে কোনও ডাক্তারের দেখা মেলে না। তাহলে এমন হাসপাতাল রেখে লাভ কি?’ গৌতম বর্মন নামে এক টোটোচালক বলেন, ‘আমাদের টোটোতেই রোগীরা এখানে এসে ডাক্তার না পেয়ে বেশ কয়েকবার ফিরে গিয়েছেন। প্রশাসন শক্ত হাতে হাল ধরুক।‘
সমস্যা যে রয়েছে মানছেন লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনালী বিশ্বাসও। তিনি বলেন, ‘অনেকেই আমাদের কাছে এসে হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরেও সবকিছু আনা হয়েছে। ব্লক স্তর থেকে পরিচালন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করি।‘ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কাজী পান্ডে বলছেন, ‘মানুষ পরিষেবা না পেলে ক্ষোভ দেখাবে এটা স্বাভাবিক। কী কারনে এমনটা হচ্ছে তা দলগতভাবেও দেখা হচ্ছে। আশা করছি সোমবারের বৈঠকে সমস্যার পাকাপাকি সমাধান হয়ে যাবে।‘