রায়গঞ্জঃ তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মোজাম্মেল হক(২৭)। বাড়ি রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলকাই গ্রামে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন বিচারক অভিযুক্তকে পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলকাই গ্রামে লালুয়া শেখ (৫৬) নামে এক তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীকে দোকানের ভেতরে ঢুকে বুকে গুলি করে একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হত্যার ঘটনার পিছনে রয়েছে জমি বিবাদ। সম্প্রতি এলাকার একটি সরকারি খাস জমিতে স্থানীয় এক ক্লাবের বোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে বিবাদ ঘটে লালুয়া শেখ ও এলাকারই তৃণমূলের অপর এক প্রভাবশালী নেতা সোলেমান শেখের। বিবাদের একদিন পর লালুয়া শেখের মুদির দোকানে ঢুকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় লালুয়ার। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে লালন শেখের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোলেমান শেখ (৫৩) কে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ পেশাদার খুনি মোজাম্মেল হকের নাম জানতে পারে। পুলিশ মোজাম্মেলের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে রায়গঞ্জে নিয়ে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এদিন দুপুরে তাকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও একজন এখনও পলাতক।
এ প্রসঙ্গে মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের বক্তব্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ আমার বাবাকে গুলি করে খুন করে সোলেমান শেখের দুই ছেলে সহ পাঁচজন। প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করতে না পারায় দিন কয়েক আগে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে। এদিন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ফোন করে জানায় মূল অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা চাই এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরও গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।