চোপড়া: চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা অস্বীকার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম হন তিন জন। খবর ছড়িয়ে পড়ে, একজন বামকর্মীর মৃত্য হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে প্রথম থেকেই মৃত্যুর খবর অস্বীকার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জসপ্রীত সিং জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃত্যুর খবর নেই।
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়পত্র জমার শেষ দিন। এদিন সকালে কংগ্রেস-সিপিএমের প্রার্থী ও কয়েকশো কর্মী-সমর্থক চোপড়ার দাসপাড়া এলাকায় জমা হন। তারপর জোটের প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে হেঁটেই সেখান থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের চোপড়া বিডিও অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অভিযোগ, মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিতে জখম হন ৩ জন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যের কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়।
এদিন ঘটনার পরই চোপড়া থানায় আসেন আইজি অজয় কুমার, ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জসপ্রীত সিং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল সহ অন্য আধিকারিকরা। সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘সকালে একটি সংঘর্ষের খবর আসে। আগে থেকে পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল। কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে। দুজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।’