Friday, May 3, 2024
Homeউত্তর সম্পাদকীয়ইতিহাস ভুলে যেতে ভালোবাসে উত্তরবঙ্গ

ইতিহাস ভুলে যেতে ভালোবাসে উত্তরবঙ্গ

শিলিগুড়ি, কোচবিহারের অনেক ঘটনার শতবর্ষ বা দেড়শো বছর পূর্তি হচ্ছে এবার। তা পালন করার উদ্যোগ নেই।

  • রূপায়ণ ভট্টাচার্য

তাঁর কোনও ছবি দেখিনি। কোনওদিন না। তবু তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে গেলে কোনও এক হুজুর সিংয়ের কথা মনে পড়ে প্রতিবার। কল্পনা করি, কেমন দেখতে ছিলেন তিনি। ইদানীং, আরও বেশি করে।

শহর শিলিগুড়ি প্রথম বাস দেখেছিল ১৯২৫ সালে। ঠিক একশো বছরে পা রাখল ঘটনাটা। হুজুর সিংয়ের বাস ইসলামপুর, তেঁতুলিয়া, হয়ে কিশনগঞ্জের দিকে যেত তখন। তার আগে শুরু হয়েছিল ট্যাক্সি। ১৯১৯ সালে। এক অনামী ইংরেজের হাত ধরে। না জানি কোথা থেকে হুজুরের বাস ছাড়ত।

সেই দুজন আজ আচম্বিতে শিলিগুড়িতে হাজির হলে একশো বছর পরে একটা মিল দেখে অবাক হতেন। একশো বছর আগের শিলিগুড়িতে বাঙালির তুলনায় অন্য জাতির সংখ্যাই ছিল বেশি। যখন কেরোসিনের ল্যাম্প সন্ধের দিকে লাগানো হত ছোট্ট শহরের পথে।

আরও একটা পয়লা বৈশাখ আসছে। সেই পয়লা বৈশাখের প্রেক্ষাপটে আর একটা ব্যাপার বারবার মাথায় ঘোরে। উত্তরবঙ্গের বর্ণময় শহরগুলো ঘুরলে মনে হয়, সেখানকার সংস্কৃতির কিছু স্মরণীয় ঘটনাকে তুলে ধরার চেষ্টা কি আমরা করেছি ঠিকঠাক? ক’দিন আগে উত্তরবঙ্গ সংবাদের রংদার রোববারে কভার স্টোরি করা হয়েছিল হংকং মার্কেট নিয়ে। কেউ ভালো করে বলতেই পারলেন না, বাংলায় বহু আলোচিত এই মার্কেট ঠিক কবে কাদের হাত ধরে তৈরি হয়েছিল। সেই ইতিহাস, ইতিহাসের মানুষগুলো একেবারে স্রেফ ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। ভ্যানিশ করে দিয়েছি আমরাই।

ক’দিন আগে কোচবিহারে ঘুরছি এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। ঘুরছি তোর্ষার পাড়ে। ঘুরতে ঘুরতে ঢুকে পড়েছি রানিবাগানে। বাগানের ঠিক মাঝখানে যে বাড়িটি, তা মনে করায় শান্তিনিকেনের প্রার্থনা গৃহকে। তা হতেই পারে। ব্রাহ্মসমাজের ভাবনার প্রতিফলন তো দুটো জায়গাতেই। অবাক হয়ে দেখলাম, সেখানে নৃপেন্দ্রনারায়ণ সহ সব মহারাজাদের স্মৃতি ফলক রয়েছে। এবং সমাধিগুলো ১৯২৪-’২৫ সালে রাজবাড়ি থেকে এখানে আনা হয়েছিল। মানে খেয়াল করে দেখুন, ঠিক একশো বছর আগে। গায়ে কাঁটা দেয় ভাবলে।

আলোয় ভাসছে কোচবিহার, বাংলার সবচেয়ে সাজানো গোছানো শহর। মদনমোহনতলা, সাগরদিঘির পাশের রাস্তাগুলো দিয়ে সকাল সন্ধে হাঁটলেও তৃপ্তি মেটে না। এত আলো ঝলমল। এত সাজানো। কেশব বাগান যে এক বহু আলোচিত ঘটনার শতবর্ষ দেখছে এবার, তার প্রমাণ নেই ওখানে হাঁটলে। বাগান ছিমছাম। পরিষ্কার। তবু ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তো! আমরা এখন ইতিহাস সচেতন নেই আদৌ। শিলিগুড়িতে ঠিক একশো বছর আগে যে হুজুর সিং প্রথম বাস চালিয়েছিলেন, তার খোঁজ পাওয়া কঠিন। অথচ কোচবিহারে তো ইতিহাস রাখার লোক প্রচুর। সেখানে ইতিহাস তুলে ধরা হবে না কেন?

কেশব বাগান থেকে হাঁটতে হাঁটতে শহরের মাঝখানে ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে যাই। সবাই জানেন, কেশবচন্দ্র সেনের কন্যা সুনীতি দেবীর সঙ্গে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিয়ে নিয়ে কীভাবে ঝড় উঠেছিল ব্রাহ্মসমাজে। শেষপর্যন্ত দু’ভাগ হয়ে যায় ব্রাহ্মসমাজ। কোচবিহারে ১৮৬৬ সালে ব্রাহ্মসমাজ তৈরি হলেও বর্তমান ধ্বংসাবশেষ সম্ভবত ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে তৈরি সমাজগৃহের অংশ। এখানে হিসেব কষলে দেখা যাবে, ঠিক দেড়শো বছর হচ্ছে বাড়িটার। ভিতরের পার্কে পড়ে রয়েছে একটি বিশাল সরস্বতীর মূর্তি। সম্ভবত পুজোর পর রেখেই দেওয়া হয়েছে। ভেতরে চলছে একটা বাচ্চাদের স্কুল। কিন্তু দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এখানে সারাবছর কিছু করা যেত না? শুনেছি, চার্চের মতো দেখতে এই ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরের প্রার্থনাকক্ষ এশিয়ার বৃহত্তম। তাকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলে ধরার উদ্যোগ তো দেখলাম না।

হয়তো খুঁজলে দেখা যাবে, ইতিহাসের শহর কোচবিহারে অনেক কিছুই একশো বছর বা দেড়শো বছরের সামনে দাঁড়িয়ে এখন। সে সবকে আলাদা করে তুলে ধরতে পারত না প্রশাসন?

কোচবিহারের পর উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ইতিহাস জড়িয়ে যে শহরটা, নাম তার মালদা। স্টেশনে নামলে দুটো জিনিস চোখে পড়ে সবার আগে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দেওয়ালে গৌড়-আদিনার রকমারি পোস্টার। এবং আরপিএফ ক্যাম্পের গায়ে বিশাল কালী মন্দির। ভারতের কোনও স্টেশনে এত বড় মন্দিরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই। দিব্যি পুজো হয়। দক্ষিণাপর্ব নেওয়ার বাক্স পর্যন্ত রয়েছে। সে থাক। রোজগারের রাস্তায় সবাই এখন সমান। অথচ সমস্যা হল, গৌড়-আদিনাকে তুলে ধরার বাড়তি উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের একেবারে নেই।

বলা হয়, উত্তরবঙ্গে যত নতুন ট্রেন হোক না কেন, যাত্রী কমার লক্ষণ নেই। ট্রেনের রিজার্ভেশন পাওয়া অসম্ভব সব সময়। এই যে হাজার হাজার পর্যটক পাহাড় ও ডুয়ার্স দেখতে আসেন, তাঁদের হয়তো পাঁচ শতাংশ মালদায় নামেন গৌড় বা আদিনা দেখতে। স্টেশনে নেমে লোকে আতান্তরে পড়েন, কীভাবে গৌড় যাওয়া যেতে পারে। কোনও ব্যবস্থা নেই। শিলিগুড়িতে পর্যটন ব্যবস্থা যেভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে, তার সামান্যতম প্রতিফলন নেই মালদায়। গৌড়ের প্রচার নিয়ে না গনি খান চৌধুরী কোনওদিন ভেবেছেন, না শৈলেন সরকার, না তপন শিকদার। জেলার তিন ধরনের রাজনীতির তিন প্রয়াত নেতার উত্তরসূরিরাও অনুসরণ করেছেন বহু আলোচিত ত্রয়ীকে। গৌড়ের দাখিল দরওয়াজা, লোটন মসজিদ, ফিরোজ মিনার, লুকোচুরি দরওয়াজা অবহেলায় পড়ে থাকে বিশাল বিশাল দিঘি ও আম বাগানের মধ্যে। ঠিক ওভাবে হবিবপুরের মদনাবতীতে পড়ে উইলিয়াম কেরির বাড়ির ধ্বংসস্তূপ। সব ঠিকঠাক চললে শ্রীরামপুরের বদলে মালদা জেলাতেই হত কেরির বহু আলোচিত কর্মক্ষেত্র। মালদারই অনেকে জানেন না ব্যাপারটা।

ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে আমরা এবং আমাদের শহরের প্রশাসকরা কতটা নির্বোধ, তার আর একটা আদর্শ উদাহরণ শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন। অতীতে শিলিগুড়িতে ছিলেন, এখন আর সেখানে থাকেন না, তাঁরা এখনকার টাউন স্টেশনের ছবি দেখলে আঁতকে ওঠেন। খানখান হয়ে যায় পুরোনো স্মৃতি। শুধু শিলিগুড়ির প্রশাসক ও বিরোধী নেতাদের কুম্ভকর্ণসুলভ ঘুম ভাঙে না আর। ইতিহাস এঁদেরকে নতুন করে জাগায় না। গত বছরই শিলিগুড়িতে টেলিফোন আসার ৭৫ বছর পূর্তি হয়েছিল। কে মনে রেখেছিল সেই ইতিহাস? গান্ধিজির অসুস্থ চিত্তরঞ্জন দাশকে দার্জিলিংয়ে দেখতে আসার ঘটনাও এবার একশোতে পা রাখল। ১৯২৫ সালের ঘটনা। হিলকার্ট রোডে শিউমঙ্গল সিংয়ের বাড়িতে গান্ধি ছিলেন ফেরার পথে। সেই ঘটনাকে তুলে ধরার চেষ্টাও কি শিলিগুড়ির পুরনিগম করতে পারে না? প্রয়াত চিত্তরঞ্জনকে টাউন স্টেশন হয়ে কলকাতা নিয়ে যাওয়ারও একশো বছর হতে চলেছে। পুরনিগম যথারীতি উদাসীন। চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুর একশো বছর হল। দার্জিলিং ম্যালের গায়ে তাঁর বাড়িটি মিউজিয়াম নামেই। অধিকাংশ দিন বন্ধ থাকে আমাদের ইতিহাস সচেতনতার প্রতীক হয়ে।

পুরোনো বইপত্রে পড়া, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত শিলিগুড়ি শহরে দেখার মতো জায়গা বলতে ছিল শুধু টাউন স্টেশন। পুজোর দিনে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখানো হত। ঝকঝকে স্টেশনে বসে লোকে তা দেখত। রেলের রেস্তোরাঁয় উর্দিপরা বাবুর্চিরা সার্ভ করতেন খাবার। কাঁটাচামচের শব্দে পালটে যেত আবহ। প্ল্যাটফর্মের পাশে ছিল সরাবজির রেস্তোরাঁ। ট্রেন আসার সময় ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ওখানে। ওই প্রথা বদলে ছিল ফজলুল হকের সরকার আসার পর। নিয়মটা ভেঙেছিলেন ফজলুল সাহেবই।

এখন যেমন সন্ধের দিকে তরুণ প্রজন্মের ভিড় উপচে পড়ে বিভিন্ন মলে, তখন তরুণরা সন্ধেয় ভিড় জমাত টাউন স্টেশনে। দার্জিলিং মেল তখন ছাড়বে। নামি লোকদের ভিড়। সাহেবদের আনাগোনা। লোক দেখার আলাদাই আনন্দ। এখন ডাস্টবিনের মতো পরিত্যক্ত অবস্থার স্টেশনকে ওই পুরোনো ছবির সঙ্গে মেলানো খুব কঠিন।

আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে, ১৯২৫ সালে শিলিগুড়ির লোকসংখ্যা ছিল পাঁচ থেকে ছয় হাজার। ১৯২১ সালে সংখ্যাটা ছিল ২০০০। ওই সময়ও শহরে অবাঙালির সংখ্যাই ছিল বেশি। বাঙালিরা থাকতেন বিচ্ছিন্ন হয়ে। পাটকলের এজেন্ট, কাঠের ব্যবসায়ী, পাটকলের কর্মী ছিলেন বেশি। তারপর রেলকর্মী, ডাক্তার, কোর্টের আমলা। এঁরাও কেমন ঔদাসীন্যের মোড়কে বাস করতেন নিজেরা।

বাইরের লোকে এসে অবাক হন অনেক সময়। উত্তরবঙ্গের বড় শহরগুলো কি প্রথম থেকেই এত উদাসীন? কোনও ঘটনাতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় না। প্রতিবাদ হয় না। এনজেপি স্টেশন সমেত শিলিগুড়ি শহরের অর্ধেকটা রয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, মালদা, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট- বাকি সব শহরে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। এতদিনেও উত্তরবঙ্গের রাজধানী শিলিগুড়ির জন্য আলাদা লোকসভা কেন্দ্রের দাবি উঠল না। আলাদা জেলারও না। ইসলামপুরে দেখুন। শহরের নাম ইসলামপুর, স্টেশন সেই আলুয়াবাড়ি রোড হয়েই রয়ে গেল। ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহাকে অন্যায়ভাবে ভারতীয় দল, বাংলা রঞ্জি দল থেকে তাড়ালেও নিশ্চুপ থাকেন সবাই। সব ক্ষেত্রে শাসক, বিরোধী দু’পক্ষই চরম উদাসীন।

আমরা মেনে নিয়েছি, এসব অনিবার্য। প্রতিবাদে লাভ নেই। যতই উত্তরবঙ্গ নিয়ে বাড়তি আবেগের কথা বলি না কেন। আমরা বঞ্চিত নই, আমরা বঞ্চিত হওয়ারই যোগ্য আসলে।

বাংলা নববর্ষের আগে উপলব্ধি, আমরা বহু বছরের ঔদাসীন্যের উত্তরাধিকার নিখুঁতভাবে বহন করে চলেছি। ইতিহাস ভুলে যাওয়ার উত্তরাধিকারও।

Uttarbanga Sambad
Uttarbanga Sambadhttps://uttarbangasambad.com/
Uttarbanga Sambad was started on 19 May 1980 in a small letterpress in Siliguri. Due to its huge popularity, in 1981 web offset press was installed. Computerized typesetting was introduced in the year 1985.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
- Advertisment -spot_img

LATEST POSTS

Fire | বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, কিশনগঞ্জে ভস্মীভূত ১০ টি বাড়ি

0
কিশনগঞ্জঃ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল ১০টি বাড়ি। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে কিশনগঞ্জের মিহীনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবস্তি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে...
ratuas three students got place in the merit list in High madrasah results

High Madrasah Result | হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় ভালো ফল রতুয়ার, মেধা তালিকায় ঠাঁই পেল...

0
সামসী: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ড পরিচালিত হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল শুক্রবার। মেধা তালিকায় প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে রতুয়া-১ ব্লকের...

OC changed | ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুরের ওসি বদল করল কমিশন, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মমতার...

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের রাজ্যের আরও দুটি থানার ওসি বদল করল নির্বাচন কমিশন। এই থানা দুটি হল- আনন্দপুর ও ডায়মন্ড হারবার। আনন্দপুর দক্ষিণ...

SSC Recruitment Scam | ‘যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন সম্ভব’, নয়া দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব।’ শুক্রবার এমনটা জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (Siddharth Majumdar)। তিনি জানান, ‘যাঁরা যোগ্য প্রার্থী তাঁদের পাশে...

SSC Verdict | সুবিচারের আশায় ফের রাস্তায় চাকরিহারারা, উত্তাল সল্টলেক

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কলকাতার রাজপথে চাকরিহারারা (Ssc Jobless)। ন্যায্য চাকরির দাবিতে শুক্রবার তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও সল্টলেকে (Saltlake) করুণাময়ীর রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা।...

Most Popular