সামসী: শনিবার মাদ্রাসা বোর্ড পরিচালিত হাই মাদ্রাসার ফল প্রকাশিত হয়। সেখানে মেধা তালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে উত্তর মালদার চার কৃতী পড়ুয়া রয়েছে। চারজন হলেন- রতুয়া ১ ব্লকের বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসা ছাত্রী মাসকুরা খাতুন, সে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে(৭৬৫)। ওই মাদ্রাসার আরও এক ছাত্র নাজিব আহমেদ ৭৬১ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। এদিকে চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্র সাহিদুল ইসলাম (৭৬৩) নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে সপ্তম এবং ওই ব্লকেরই ধানগাড়া বিষণপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্র ওয়াসিম আক্তার ৭৬০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেছে। চার কৃতী পড়ুয়ার এই নজরকাড়া এই ফলাফলে খুশির হাওয়া বইছে উত্তর মালদায়।
মাসকুরা খাতুনের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৫। গোটা রাজ্যে ষষ্ঠ হয়েছে সে। সে ভাদো মুসলিম গার্লস মিশনের ছাত্রী। মাসকুরা খাতুনের বাবা আমিনুল ইসলাম পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের তালগাছি গ্রামে। মা আয়েশা খাতুন গৃহবধূ। মাসকুরা জানায়, সে খুব খুশি। বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে চায়। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সে।
বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার আরও এক ছাত্র নাজিব আহমেদ ৭৬১ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। নাজিবের বাড়ি রতুয়া-১ ব্লকের বটতলা গ্রামে। বাবা মহম্মদ সফিকুল আলম একজন প্রান্তিক চাষি। ডাক্তার হতে চায় সে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় অর্থ।
জালালপুর হাই মাদ্রাসার সাহিদুল ইসলাম ৭৬৩ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। সাহিদুলের গ্রামের বাড়ি চাঁচল-২ ব্লকের হজরতপুর গ্রামে। বাবা আব্দুর রশিদ গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি করেন।
চাঁচল-২ ব্লকের ধানগাড়া-বিষণপুর হাই মাদ্রাসার এক কৃতী পড়ুয়া ওয়াসিম আক্তার। সে ৭৬০ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার এই ফলাফলে এলাকায় খুশির হাওয়া। বাবা আবদুল হাই পেশায় খেতমজুর। কোনরকমে সংসার চলে। ওয়াসিম আক্তার জানায়, ভালো ফলের ব্যাপারে তার আশা ছিলই। এরজন্য পরিবারের সকলকে ও সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।