উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ (Pakistan Election) বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। রবিবার দুপুরে শেষ হয়েছে ভোট গণনা। প্রায় ৬০ ঘন্টা ধরে চলে ভোটগণনা। তবে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারে নেতৃত্বের ব্যাটন কার হাতে থাকবে। কারণ কোনও রাজনৈতিক দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ত্রিশঙ্কু ফলাফল হওয়ায় জোট সরকারই ক্ষমতায় আসতে চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৬ টি আসনের মধ্যে গণনা শেষ হয়ে গিয়েছে ২৬৪টি আসনে। বাকি দুটি আসনের একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচন হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। গণনা শেষ হয়ে গেলেও কোনও দলই একক ভাবে ‘জাদুসংখ্যা’ ছুঁতে পারেনি। ত্রিশঙ্কু ফলাফল হওয়ায় জোট সরকারই ক্ষমতায় আসতে চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে প্রাথমিক ফল জানা গিয়েছে, তাতে পঞ্জাব প্রদেশে এগিয়ে রয়েছে নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) (Nawaz’s party is Pakistan Muslim League-Nawaz (PML-N)। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এগিয়ে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) (Pakistan Tehreek-e-Insaf (PTI))। সিন্ধ প্রদেশে নিজেদের গড় ধরে রেখেছে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাবল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। আর বালুচিস্তান প্রদেশে জোর লড়াই চলছে পিপিপি এবং পিএমএল-এনের মধ্যে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ৯৩টি, পিএমএল-এন ৭৩টি এবং পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। অন্যেরা পেয়েছে ৩৩টি আসন। অন্য একটি সূত্র বলছে, পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা ১০২টি আসনে জয়ের মুখ দেখে ফেলেছেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়ার জন্য চাই আরও ৩১টি আসন। যা কার্যত সম্ভব নয়। ফলে পাকিস্তানে যে ত্রিশঙ্কু সরকার গঠিত হচ্ছে তা বলাই যায়।
এদিকে, নওয়াজ শরিফ দাবি করেছেন বিলাবলের পিপিপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার আরও একবার পাকিস্তানে সরকার গঠন করবেন তাঁরা। সূত্রের খবর বিলাবলের পিতা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছেন নওয়াজ। যদিও এমন বৈঠকের কথা সংবাদ মাধ্যমে অস্বীকার করেছেন বিলাবল ভুট্টো জারদারি। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক শিবিরের বড় অংশ মনে করছেন, ইসলামাবাদের কুর্সিতে কে বসবেন, শেষমেশ তা ঠিক করবে পাক সেনাই, আরও স্পষ্ট করে বললে সেনাপ্রধান আসিম মুনির।
এক বিবৃতিতে আসিম মুনির বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচন শুধুমাত্র জয়-পরাজয় নির্ধারণের প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনমত যাচাইয়ের পরীক্ষা।” মনে করা হচ্ছে ‘যৌথ প্রচেষ্টা’ বলতে সেনাপ্রধান নওয়াজ-বিলাবল জোট সরকারের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। ভোটপর্ব মেটার পর এ বার সে দেশে কে বা কারা কী ভাবে সরকার গঠন করে, সে দিকেই নজর গোটা বিশ্বের।