রাজু সাহা, শামুকতলা: জঙ্গল থেকে কাঠ চুরির অভিযোগ (Wood Theft) হামেশাই ওঠে। তবে এবার খোদ রেঞ্জ অফিস থেকে কাঠ চুরির অভিযোগ উঠল। চারদিক ঘেরা রেঞ্জ অফিস থেকে কীভাবে কাঠ চুরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বক্সা ব্যাঘ্র-প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) পূর্ব বিভাগের নর্থ রায়ডাক রেঞ্জে (Raidak Range) গত ২ মে ঘটনাটি ঘটে। এনিয়ে বন দপ্তরের তরফে শামুকতলা (Samuktala) থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ রাজেশ টোপ্পো নামে কার্তিকা চা বাগানের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার বাড়ি থেকে সামান্য কাঠ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির বেশিরভাগ কাঠ পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে বন দপ্তর এবং পুলিশ। তবে ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাঠ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, দু’সপ্তাহ আগে একটি ছোট ট্রাকে করে কাঠ পাচারের সময় পিছু ধাওয়া করে সমস্ত কাঠ বাজেয়াপ্ত করেন নর্থ রায়ডাক রেঞ্জের বনকর্মীরা। এরপর সেই ট্রাক সহ কাঠ রেঞ্জ অফিসের ভেতরেই রাখা হয়। ওই গাড়িতে ২১টি শালের গুঁড়ি এবং বেশ কয়েকটি শাল কাঠের দরজার কাঠামো ছিল। গত ৩ মে বনকর্মীরা দেখতে পান, ওই গাড়ির কাঠ উধাও। কিন্তু কীভাবে ওই কাঠ রেঞ্জ অফিস ক্যাম্পাস থেকে হাপিস হয়ে গেল সেটা রীতিমতো রহস্যের। এই চুরির পেছনে কোনও বনকর্মী যুক্ত রয়েছেন কি না সেটাও দেখছে বন দপ্তর এবং পুলিশ।
রেঞ্জ অফিসের ক্যাম্পাসের ভেতর বনকর্মী এবং বনরক্ষীদের আবাস রয়েছে। বড় গেট লাগানো রয়েছে রেঞ্জ অফিসের সামনে। রেঞ্জ অফিসের ক্যাম্পাস গোটাটাই ঘেরা দেওয়া। সেখান থেকে কীভাবে কাঠ উধাও হল, তা বুঝতে পারছে না কেউই।
শামুকতলা থানার ওসি জগদীশ রায় বলেন, ‘আশা করছি এই ঘটনায় জড়িত সকল দুষ্কৃতীকে আমরা শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতে পারব এবং চুরি যাওয়া সমস্ত কাঠ উদ্ধার করতে পারব।’ নর্থ রায়ডাক রেঞ্জ অফিসার শ্যামল মণ্ডলের কথায়, ‘রেঞ্জ অফিসের ভেতর থেকে কীভাবে কাঠ চুরি হল সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। তদন্ত চলছে।’