কলকাতা: সিপিএমের পর এবার ধাক্কা আইএসএফের। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, নতুন আর কোনও মনোনয়ন নয়। ফলে ভোটের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। ১৫ দিন পর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শেষদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে। অশান্ত ভাঙড়ে চলছিল গুলি, বোমাবাজি। ফলে বহু প্রার্থীরা সময়ে মনোনয়ন দিতে পারেননি। অভিযোগ, বেশকিছু ক্ষেত্রে স্ক্রুটিনিতে সমস্যা না হলেও আচমকা স্ক্রুটিনির পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে বাদ যায় তাঁদের নাম। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের বাম ও আইএসএফ প্রার্থীরা। সেই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে কমিশনকে। অভিযোগ বৈধ হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল কমিশন ও রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না আইএসএফের ওই প্রার্থীরা। ১৫ দিন পর মামলাটির ফের শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সিপিএম প্রার্থীদের নিয়েও বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, নতুন আর কোনও মনোনয়ন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের সিপিএম কর্মীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ভাঙড়ের ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীকে পুলিশ এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দেবে। সেদিনই বিডিও অফিসের অদূরে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর ফের মনোনয়ন জমা দিতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন সিপিএম প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবেদন শুনে নির্দেশ দেন, যে ১৯ জন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এনিয়ে ২৮ জুনের মধ্যে কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলায় এই রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।