ফাঁসিদেওয়া: বিধাননগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাজল ঘোষকে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের সঙ্গে তুলনা করে লিফলেট ছড়ানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন কাজল ঘোষ। বিষয়টি নিয়ে রবিবার পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। ফাঁসিদেওয়ার ওসি ইফতিকার উল হাসানের কথা, ‘নেতার লিখিত অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
অপরদিকে, বিজেপির নেতাদের দাবি, এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। শনিবার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরে প্রকাশক এবং মুদ্রণকারীর নামহীন একটি লিফলেট ছড়িয়ে পড়ে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা বোঝা যায়নি ঠিকই তবে, লিফলেটের মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে।
বামদিকে, শেখ শাহজাহান এবং ডানদিকে কাজল ঘোষের ছবি রয়েছে। কাজলের ছবির উপরে ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির দুই মহিলা কর্মাধ্যক্ষের ছবিও রয়েছে৷ সেইসঙ্গে, সন্দেশখালিতে রাতে মহিলাদের ডেকে পিঠে তৈরির অভিযোগের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে ‘আমরা পিঠে খেতে ভালোবাসি’ এই লাইনটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। লিফলেটের উপরে একটি কিউআর কোড দেওয়া হয়েছে৷
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের ফাঁসিদেওয়া সাংগঠনিক ২ নম্বর ব্লক সভাপতি কাজল ঘোষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। রবিবার তিনি বিধাননগর তদন্ত কেন্দ্রে ব্যক্তিগতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করে দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন। কাজল বলেন, ‘শেখ শাহাজাহানকে আমি চিনি না। ওর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ বিজেপি এলাকায় আমার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে উঠছে না। তাই, চক্রান্ত করে এগুলি করছে।’
পালটা বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল মন্তব্য করেছেন, ‘তৃণমূলের লোকজন নিজেরাই এটা করেছে। আমরা এধরণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। শেখ শাহজাহানের মতো নেতা গোটা রাজ্যের অলিতে-গলিতে আছে। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ওঁদের দলেরই এক নেতা আরেক নেতার কুকীর্তি ফাঁস করতে লিফলেট ছড়িয়েছে বলে আমর অনুমান৷ পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত হলেই প্রকৃত দোষী ধরা পড়বে।’