উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এখন একমাত্র লক্ষ্য যে কোনও প্রকারে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা। চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিশাল বিশাল কংক্রিটের ব্লক সরানোর কাজ। ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধ্যুনিক যান্ত্রাদি। টানা আটদিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। কংক্রিটের ব্লক সরিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে উত্তরকাশী প্রশাসন। পাশাপাশি চেষ্টা চলছে শুকনো খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে থাকা ওই শ্রমিকদের ভাত-রুটি-তরকারি পৌঁছে দেওয়ার। সে কারণে ধ্বংসস্তূপের ভিতর দিয়ে আরও একটি পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। প্রায় ষাট মিটার ধ্বংসস্তূপের ভিতরে সেই পাইপ ৪২ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। অন্য রসদের সঙ্গে অবসাদ কাটানোর ওষুধও পাঠানো হচ্ছে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে।
জানা গিয়েছে, সিল্কিয়ারার দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খননের কাজ শুক্রবার দুপুরের পরে থমকে যায়। রবিবার সন্ধ্যার পরেও তা চালু হয়নি। জানানো হয়েছে, সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফের শুরু হবে। শ্রমিকদের উদ্ধারে এ বার বিকল্প পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। বিশেষ সূত্রের খবর, পাহাড় খুঁড়ে সুড়ঙ্গের ছাদ ফুঁড়ে দুর্গতদের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। সেই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি। সেই কাজের সুবিধার্থে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পাহাড়ে ৭০০ মিটার রাস্তা বানানো শুরু করেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। সুড়ঙ্গের অন্য মুখ বারাকোটে। সে দিক থেকে ১.৭ কিলোমিটার তৈরি হয়ে আছে। বাকি ৪৮০ মিটারের মধ্যে খুঁড়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টাও হবে। যেখানে শ্রমিকেরা আটকে, তার দু’পাশের দেওয়াল ফুঁড়ে তাঁদের কাছে পৌঁছতে পাহাড়ের দু’জায়গা থেকে আড়াআড়ি খননের কথা বলা হয়েছে।
রবিবার সিল্কিয়ারায় দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। গত ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একাংশ ধসে পড়ে। সেই দিন থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা। অক্সিজেন পাঠানোর সরু পাইপে ছোলা, বাদাম ইত্যাদি শুকনো খাবার ও দরকারি রসদ পাঠানো হচ্ছে তাঁদের।