জ্যোতি সরকার, জলপাইগুড়ি: আগামী ৭ এপ্রিল ধূপগুড়িতে (Dhupguri) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) জনসভা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের ধারণা, অনেক দেরিতে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ায় নীচুতলাতে প্রচারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই এখন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি তার ৩২টি মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছে ধূপগুড়ির জনসভাতে ব্যাপক জনসমাগম করতে হবে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে বাস, ট্রাক এবং ম্যাক্সিক্যাব ভাড়া করা হয়েছে।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘ধূপগুড়ি জনসভার জন্য ১৫ হাজার গাড়ি ভাড়া করা হচ্ছে। শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলা নয়। প্রতিবেশী অসম রাজ্য থেকে বিজেপির কর্মীরা যেমন ধূপগুড়িতে আসবেন তেমনি দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকেও বিজেপি সমর্থকরা জনসভাতে যোগ দেবেন।’
জেলা সভাপতির দাবি, জনসভাতে দুই লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, জনসভাতে শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলার কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে মাঠ ভরানো যাবে না বলে বিজেপি হাত বাড়িয়েছে অসম এবং দার্জিলিং জেলায়। পাহাড় থেকেও বিজেপি সমর্থকরা ধূপগুড়িতে আসবেন। গেরুয়া শিবির ধূপগুড়িতে জনসভার জন্য বেছে নিয়েছে এই কারণে যে বিগত ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপি তার জেতা আসন খুইয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলাতে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অজানা নয়। ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ধূপগুড়িতে জনসভা করানো হচ্ছে। ধূপগুড়ি লাগোয়া বেশ কিছু অঞ্চল যেমন খগেনহাট, এথেলবাড়ি, বানারহাটের অনেকগুলি চা বাগান আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। মোদির জনসভার মাধ্যমে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারকে শক্তিশালী করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির কপালে চিন্তার ভঁাজ ফেলেছেন বিদায়ি মন্ত্রী জন বারলা। বারলার সমর্থকরা আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মালবাজার বিধানসভা ক্ষেত্রে বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পথ নিয়েছে।
ধূপগুড়ি এক সময় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। উপনির্বাচনের পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধূপগুড়িতে বিজেপির রাজনৈতিক মাটি আলগা হয়েছে। পায়ের তলার মাটিকে শক্তিশালী করার জন্য বিজেপি এখন মরিয়া।