নিউজ ব্যুরো: রাত পোহালেই মালদায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নির্বাচনি জনসভা। এদিকে রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) কেন্দ্রে ভোট। ঠিক তার আগের দিন মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে তাপপ্রবাহ নিয়ে লাল সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) কমলা সতর্কতাই রয়েছে। এই জেলাতেও যেকোনও মুহূর্তে জারি হতে পারে লাল সতর্কতা।
সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, ‘আগামী কয়েকদিন গৌড়বঙ্গের তিন জেলা মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।’
মোদিকে মালদার আমসত্ত্ব, আমের আচার, মাখনা, কলিগ্রামের ক্ষীর দিয়ে বরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুধু উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জেলা বিজেপির টার্গেট প্রায় পাঁচ লক্ষ জমায়েতের। শুক্রবার ভোররাত থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সভার উদ্দেশে রওনা দেবেন বিজেপি কর্মীরা। সভাস্থলে জমায়েতের সময় দেওয়া হয়েছে সকাল আটটা। তবে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছোবেন সকাল ১০.৪৫ মিনিটে। চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকা থেকে ভোর ৪টা থেকে ছাড়বে বাস। এক একটি অঞ্চল থেকে দুই থেকে তিনটি করে বাস থাকবে। সামসী, রতুয়া এলাকা থেকে কর্মীরা রওনা হবেন ভোর পাঁচটা থেকে। গাজোল বিধানসভা থেকেও একই সময় রওনা দেবেন কর্মীরা। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘ভোর নয়, রাত থেকেই অনেকে আসতে শুরু করবে। কাল মোদি ঝড় উঠবে মালদায়।’
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ১৫৬৯টি বুথে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। ১৩ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তাই এদিন সকাল থেকে শুরু হয়েছে বালুরঘাটের ভোটকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে পাঠানোর কাজ। এদিন এই লোকসভা কেন্দ্রের মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের তিনটি ডিস্ট্রিবিউশন কেন্দ্র থেকে পাঠানো হচ্ছে ভোটকর্মীদের। বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর ও ইটাহারে করা হয়েছে এই কেন্দ্র। মোট ৬,৪০৮ জন ভোটকর্মীর মধ্যে ২০ শতাংশ ভোটকর্মীদের সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। জেলায় মোট ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী ৮টি বুথে মোতায়ন রয়েছে। নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগানো হয়েছে। জেলার সব বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও সিসিটিভি নজরদারি থাকছে সব কেন্দ্রেই। সোমবার সকাল থেকেই বালুরঘাট কলেজ, বুনিয়াদপুর ও ইটাহার ব্লক অফিস থেকে ভোট কর্মীদের ইভিএম, ভিভিপ্যাট সহ অন্য ভোটের ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসনিক ভবনে খোলা হয়েছে হেল্প লাইন সেন্টার। ১৯৫০ এই নম্বরে ফোন করলে, সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ লিপিবদ্ধ হবে ও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা।
এদিকে, রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের ডিসিআরসি’তে এদিন মহিলা ভোটকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। এমনকি হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে তাঁরাও এদিন ভোট উৎসবে শামিল হন। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা ভোটকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রায়গঞ্জের ৩০টি বুথে প্রিসাইডিং থেকে সকল ভোটকর্মীরা মহিলা থাকবেন। এদিন সদ্য চাকরিহারা এক শিক্ষিকা প্রিয়াংকা গোহ জানান, ‘রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পড়েছে। আদালতের রায়ের পর যথেষ্ট মানসিক চাপের মধ্যে আছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্তব্য পালন থেকে সরে যাইনি। কারণ আমি অবৈধভাবে চাকরি পাইনি।’