উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ একদিকে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই দিল্লিতে কুস্তিগিরদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়াল পুলিশ। এই ঘটনায় উত্তাল দিল্লির যন্তরমন্তর এলাকা। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ চরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে এদিন সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কুস্তিগিরদের আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে দিনে দিনে। রবিবার সেই আন্দোলন অন্য মাত্রা নিল। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনেই দিল্লি দেখল কুস্তিগিরদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ছবি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করছে। তারপরেও কুস্তিগিরদের আন্দোলনকে গুরুত্ব দেয়নি মোদি-শাহরা।
যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ চরণ সিংয়ের গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার নতুন সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন অলিম্পিক্সে পদক জয়ী সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া ও ভিনেশ ফোগাটরা। এদিন যন্তর মন্তর থেকে প্রতিবাদ মিছিল সংসদ ভবনের উদ্দেশে এগোতেই আটকে দেয় পুলিশ। আর তারপরই সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। পুলিশের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আটক করা হয় সাক্ষী, পুনিয়া সহ বহু আন্দোলনকারীকে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় গোটা দেশ। দেশের প্রায় অধিকাংশ কুস্তিগিররা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান সেই সময়। সেই বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্র সরকার ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় ফের এপ্রিল মাস পথে নেমেছেন কুস্তিগিররা।