উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারও উত্তপ্তকর পরিস্থিতি জয়নগরের। এদিনও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় এলাকার পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির মধ্যে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে সিপিএম নেতারা। গ্রামে ঢুকতে তাঁদের বাঁধা দেয় পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশি বাধায় তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাঁদের বহু কর্মী সমর্থক এখনও ঘরছাড়া রয়েছে। অথচ তাঁদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
জানা গিয়েছে, এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়দে নেতৃত্বে সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল যান জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামের উদ্দেশ্যে। গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। দফায় দফায় বচসা, ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কি শেষে সিপিএম নেতারা পৌঁছে যান জয়নগর থানায়। ত্রাণ সামগ্রী দলুয়াখাকি গ্রামে পৌঁছে দিতে না পারায়, থানা চত্বরেই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ত্রাণ সামগ্রী রেখে দেওয়া হল থানা চত্বরেই। সিপিএম নেতাদের দাবি, যেহেতু তাঁরা পুলিশের বাঁধায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গ্রামে ঢুকতে পারেননি, তাই পুলিশকেই ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে।
এদিন সন্ধ্যায়, জয়নগর থানা চত্বরে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সারা রাত এই মানুষগুলি খোলা আকাশের তলায়। এদের ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দায়িত্ব কার? এদের তো নাগরিক অধিকার রয়েছে। প্রশাসন কিছু করছে না, আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাউছি, সেটাও ওদের পছন্দ নয়। এত অপছন্দ নিয়ে চলা যাবে না।”
বাম নেতাদের পরে দলুয়াখাকি গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকেও গ্রামের ধোকার আগেই আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় তাঁর। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন নওশাদ সিদ্দিকি।
নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “কেন শিশু দিবস হয় জানেন। আমার বেশ কিছু উদ্দেশ্য ছিল। যে ভাইকে গুলি করে মারা হয়েছে তার পাশে দাঁড়ানো। কারণ, আমরা দেখেছি কিছু সময় পরে কেসটা ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। তাই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আজ শিশু দিবস, কিন্তু ওখানকার শিশুর আতঙ্কিত। তারা খেতে পারছেন না, তাদের খাবার নেই। অপদার্থ প্রশাসন। সারাদিনে খাবারও দেয়নি তাদের।”