ঘোকসাডাঙ্গাঃ তিন বিজেপি নেতাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়ল মাথাভাঙা ২ ব্লকের নবিনের দোলা এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের নামে এই পোস্টার। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। শুক্রবার সকালে গ্রামেরই এক কিশোরীর নজরে আসে গাছে লাগানো হুমকির পোস্টারটি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভীড় জমায় সাধারন মানুষ। পরে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি সরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই তিন বিজেপি নেতা তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মাথাভাঙা ২ ব্লকের নবিনের দোলা এলাকার একটি গাছে সাঁটা পোস্টার দেখতে পায় গ্রামেরই দুই কিশোরী রেনুকা বর্মণ ও নন্দিতা মণ্ডল। পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘বিজেপির তিন নেতাকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হইলো, এই তিনজনকে যদি লতাপাতা অঞ্চলের ধারেকাছে যদি দেখি জীবনটা নিয়ে ফিরতে হবে না। পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত যেন সাবধান থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাদের মৃত্যুবরণ করতে হবে। তাদের নামগুলো বলে দিচ্ছি উমানাথ বর্মন, মহাদেব মণ্ডল, হরিপদ বর্মন’। নিচে লেখা তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, তোমাদের যমরাজ।
এই পোস্টার দেখে নন্দিতা মণ্ডল বাড়িতে এসে তার কাকা মহাদেব মণ্ডল কে জানায়। মহাদেব মণ্ডল এলাকায় বিজেপির যুব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি যুব মোর্চার মাথাভাঙ্গা বিধানসভার কনভেনার পদে রয়েছেন। তিনি ফোন করে হরিপদ বর্মন ও উমানাথ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব কে বিষয়টি জানান। হরিপদ বর্মন যুব মোর্চার এক নং মণ্ডলের সম্পাদক ও উমানাথ বর্মন এক নম্বর মণ্ডলের কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে বৌলপারি থেকে উমানাথ বর্মন, কুশিয়ারবাড়ি থেকে হরিপদ বর্মন সহ বিজেপি নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা ঘোকসাডাঙ্গা থানায় এসে গোটা বিষয় জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘোকসাডাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পোস্টার দুটিকে সরিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ, নিজেরাই পোস্টার লাগিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে।
এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের লতাপাতা অঞ্চল সভাপতি প্রসেনজিত বর্মনের কথায়, যে তিনজনের নামে পোস্টার তাদেরকে এলাকার লোকজন ঠিকমতো চেনেই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা উন্নয়ন মূলক প্রকল্প ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আর তাই নিজেরাই নিজেদের নামে এভাবে পোস্টার লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। মানুষ আমাদের পাশে আছে। এসব বুঝে গেছে। এভাবে তৃণমূল কে কালিমালিপ্ত করা যাবে না।