হরিশ্চন্দ্রপুর: ব্লক প্রশাসন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি জমি থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জল প্রকল্পের কাজ স্থানান্তর করে তা ব্যক্তিগত রায়তি জমিতে করার অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরে। সোমবার এর প্রতিবাদে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পুরোনো জমিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ওই জল প্রকল্পের কাজ করতে হবে। না হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে শামিল হবেন।
এদিকে, বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ করে দেন পিএইচই দপ্তরের ঠিকাদার। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি জমি থেকে ওই প্রকল্প জমিতে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। যদিও বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যাঁরা অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা সরকারি জমিকে সামনে রেখে মোটা টাকা কামানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। এখন স্বার্থে আঘাত লাগাতে তাঁরাই এই অভিযোগ তুলছেন।
যদিও সরকারি জমি থেকে এই প্রকল্প স্থানান্তরের ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন এবং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক। তাঁদের কাছে সরকারি জমি থেকে প্রকল্প স্থানান্তর করার কোনও তথ্য নেই। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের চাঁচল মহকুমা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষকে ফোন করা হয়। তবে ফোন না ধরায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, ওই এলাকার একটি খাস জমি চিহ্নিত করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জল প্রকল্পের জন্য। কিন্তু কেন স্থানান্তর করা হল, সে ব্যাপারে এখনও জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহার কথায়, ‘জমি জনস্বাস্থ্য কারিগরির দপ্তরের নামে রেকর্ড করা হয়েছে। এখনও কেন ওই জমিতে প্রকল্প হচ্ছে না, এই ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’