উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবার শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা মন্দিরে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। আর উপাচার্যের এই মন্তব্যের পর নিন্দার ঝড় রাজ্যজুড়ে।
উপাচার্য ঠিক কি বলেছেন গতকাল? উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের নাম নিয়ে শান্তিনিকেতন এখন স্বার্থসিদ্ধির সোপান হয়েছে। যাঁরা অন্যায় কাজ করেন তাঁরা নিজেদেরকে বলে ওঠেন রাবীন্দ্রিক। রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত। প্রথাগত শিক্ষা তিনি নেননি। বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থাকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন। শিক্ষা দু’রকমের হয়। এক ধরনের শিক্ষা কেজি থেকে পিজি পড়াশোনা করলাম, ডিগ্রি লাভ করলাম এবং চাকরি করলাম। আর অন্যটি বিকল্প শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথের সামাজিক ভাবনাচিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ তৈরি করে। সেই শিক্ষায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। এখন বিশ্বভারতীতে বিকল্প ভাবনা চিন্তায় আঁধার তৈরি হয়েছে।’ বিশ্বকবিকে নিয়ে এধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে থাকে ভিডিও। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও উপাচার্য শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, প্রাক্তনীদের ভোগবাদী, ছাত্রছাত্রী থেকে অধ্যাপকদের সাসপেন্ড, জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে সংঘাত, রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ এরকম একাধিক বিতর্কিত কার্যকলাপে বারবার তার নাম উঠে এসেছে।
আর এসব কারনেই উপাচার্যের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এবং রাজ্যপালের কাছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদ।হাতে রয়েছে আর মাত্র তিন মাস। তার আগেও বিতর্কে জড়ালেন তিনি।তার এই মন্তব্যের পর জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।তবে রাজ্যের সর্বস্তরে উঠেছে নিন্দার ঝড়।