মুর্শিদাবাদ: ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা (Bharat Jodo Nyay Yatra) নিয়ে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) রয়েছেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। আর সেখানেই কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরল সিপিএম (CPM)। এদিন রাহুলের যাত্রায় যোগ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Salim) সহ সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। ছিলেন সিপিএমের যুবনেতা শতরূপ ঘোষও। শতরূপ অবশ্য বুধবার মালদাতেই (Malda) কংগ্রেসের যাত্রায় যোগ দেন। আর কংগ্রেস সিপিএমের এই জোটবদ্ধতার চিত্রটা ধরা পড়তেই পাশের জেলা নদিয়া থেকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি এদিন বলেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএমের জোট হয়েছে বিজেপিকে সুবিধে করে দিতে। এই কারণেই একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বুধবার সিপিএমকে মালদা থেকে বিজেপির (BJP) এক নম্বর দালাল বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। তবে গান্ধি পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো বলেও জানান তিনি। কিন্তু বাংলায় জোট না হওয়ার পেছনে সিপিএমকেই দায়ি করেন তিনি।
তবে এদিনের যাত্রায় সিপিএম নেতৃত্ব যোগ দিলেও তার সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল বেশকিছুদিন আগেই। সূত্রের দাবি, কংগ্রেসের তরফেই ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় সিপিএমকে। সপ্তাহ দুয়েক আগে দিল্লি থেকে এআইসিসির এক শীর্ষ পদাধিকারী ফোন করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। সেলিম জানান, তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী না থাকলে সিপিএম এই যাত্রায় যোগ দেবে। ফলে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল সিপিএম নেতৃত্ব যাত্রায় পথ হাঁটবেন কিনা তা নিয়ে। এরই মধ্যে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হচ্ছে না। সেটা স্পষ্ট হয়ে যেতেই যাত্রায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম।
পিয়ারাপুরে এসে যাত্রায় যোগ দেন সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিম। সঙ্গে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী সহ যুব নেতা শতরূপ ঘোষ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা। এদিন রাহুল গান্ধি এবং অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথায় সেলিম বলেন, ‘আমরা ন্যায়ের পক্ষে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও কংগ্রেসের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বলছেন সিপিআইএমের জন্য জোট ভাঙছে। আবার কখনও বলছেন কংগ্রেসের জন্য। আসল কথা তৃণমূল নিজের ঘাড় বিক্রি করতে পারে কিন্তু আমরা তা করব না। এই রাজ্যের এই অত্যাচারী সরকারকে সরাতে আমরা বদ্ধ পরিকর। মানুষ ২০২৪ সালে সব কিছু বদলে দেবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কাতে (Farakka)) প্রবেশ করে রাহুল গান্ধির যাত্রা। এরপর ন্যায় যাত্রা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সামশেরগঞ্জ-সুতি হয়ে রঘুনাথগঞ্জের দিকে এগিয়ে চলে। পিয়ারাপুর মাঠে রাহুল গান্ধি সহ ন্যায় যাত্রার সকলে সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন বহরমপুরের উদ্দেশে। রাহুল গান্ধিকে এক ঝলক দেখার জন্য সকাল থেকে জাতীয় সড়কের দু’ধারে অগণিত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।