নাগরাকাটা: পরপর দু’দিন মংপংয়ের জঙ্গল চেরা রেললাইনে জরুরিকালীন ব্রেক কষে হাতির প্রাণ বাঁচালেন ট্রেনচালক। রবিবারের পর সোমবারের ঘটনাস্থলও সেবক ও বাগ্রাকোট স্টেশনের মাঝে। গত ৯ অগাস্ট রাতে চাপরামারিতে ট্রেনের ধাক্কায় একটি গর্ভবতী হস্তিনীর মৃত্যুর পর অন্তত ২০ বার ডুয়ার্সের রেলপথে হাতির প্রাণ রক্ষা করলেন ট্রেনচালক। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম বলেন, ‘বুনোদের রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জঙ্গলের পথে নিয়ন্ত্রিত গতিবেগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ট্রেনচালকদেরও এব্যাপারে সতেচন রাখার প্রক্রিয়া জারি আছে।’
সোমবারের ঘটনাটি ঘটে বাগ্রাকোট ও সেবক স্টেশনের মাঝে। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ডাউন বামনহাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের দুই চালক সরণ টোপ্পো ও হরিন্দর লোহার আচমকাই লাইনের ওপর দু’টি হাতিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জরুরিকালীন ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন। ৫ মিনিট অপেক্ষার পর বুনো দু’টি জঙ্গলে ঢুকে গেলে তাঁরা আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রবিবারের ঘটনাটিও প্রায় একই জায়গায় ঘটে। সেখানে ডলোমাইট বোঝাই একটি ট্রেন থামিয়ে দিয়ে লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি হাতিকে রক্ষা করেন দুই চালক সঞ্জীব কুমার ও পি কুমার। গত এক মাসে কখনও চাপরামারি আবার কখনও মহানন্দা বা জলদাপাড়ার জঙ্গলের রেলপথে ট্রেন থামিয়ে হাতি রক্ষার একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রেলের এই সতর্কতাকে স্বাগত জানাচ্ছে সব মহলই।