ভাস্কর বাগচী ও রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: এ যেন এক অন্য ভ্যালেন্টাইন। রাজনৈতিক ভাবে দুজনের অবস্থান দুই মেরুতে। কিন্তু বাঙালির প্রেম দিবসে গৌতম দেব এবং রাজু বিস্ট নিজেদের দূরত্ব আর বজায় রাখতে পারলেন না। কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই দুজনের সরস্বতীপুজোর দিন দেখা হতেই আলিঙ্গনবদ্ধ হলেন। যা আরও একবার দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরের রাজনীতির তফাৎটা বড় করে দিল।
রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি এবং তৃণমূলের সম্পর্কটা কার্যত সাপে নেউলে। এর উপর সামনে আবার লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে সবচেয়ে বড় ‘শত্রু’ বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তির ছুঁড়তে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সরস্বতীপুজোর দিনে শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস ক্লাবে দেখা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্টের। রাজুর গলায় কিন্তু এদিন ছিল গৌতমকে নিয়ে প্রশংসারই সুর। কিন্তু বিরোধী দলের বরিষ্ট নেতার সঙ্গে দেখা হওয়াটা আশ্চর্যের কিছু নেই বলেই মনে করেন রাজু। তার কথায়, ‘আমি বয়সে অনেক ছোট। তাই গৌতমবাবু, অশোকদা, পাপিয়াদির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়। আমাদের দল আলাদা, বিচারধারা আলাদা হতে পারে। কিন্তু আমরা তো দার্জিলিংয়ের মানুষ। তাই আমরা একটা পরিবার।’ তিনি বলেন, ‘ভোটের সময় আমরা আমাদের দলের নীতির কথা বলি ঠিকই। কিন্তু বাকি সময় আমরা তো সবাই এক। গৌতমজির সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগলো। উনি দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। শহরের মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছেন। উনি অনেক অভিজ্ঞ মানুষ।
এদিন শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস ক্লাবের আমন্ত্রণে দুপুর ১টা নাগাদ সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। মেয়র বেরিয়ে যাওয়ার মুখে ক্লাবে আসেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট। দুজনের মুখোমুখি দেখা হতেই দুজনে প্রথমে করমর্দন করেন। এরপর রাজুই আগ্রহী হয়ে গৌতমের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন। এরপর গৌতম বেরিয়ে গেলেও রাজু কিছুক্ষণ সেখানে থাকেন। গৌতম অবশ্য এমন পরিস্থিতির জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘এরকম দেখা সাক্ষাৎ কমই হয়। তবে এদিন জার্নালিস্টস ক্লাবে দেখা হল।’