নাগরাকাটাঃ অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রাম স্তুতির নৃত্য পরিবেশন করলেন জলপাইগুড়ির ডঃ পম্পি পাল (Dr. Pompi Pal)। শুক্রবার ওই ওডিশি নৃত্য (Odishi Dance) শিল্পী সেখানে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। তাঁর পরিবেশনা ছিল সীতার চরিত্রের ওপর। রাম বন্দনাই যার মূল কথা। জলপাইগুড়ির কল্পদীপ নামে একটি নাচ শেখানোর স্কুলের কর্ণধার পম্পি বলছেন, দেশ বিদেশের বহু স্থানে ওডিশি নৃত্য পরিবেশন করেছি। তবে সাক্ষ্যাৎ অযোধ্যার রামমন্দিরে এই সুযোগ পাব তা কল্পনারও অতীত ছিল। রামলালার দর্শনের সৌভাগ্যও এই নাচের সূত্রেই হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর উদ্যোগে নয়া দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বারাণসী সহ নানা স্থানে আন্তর্জাতিক রামায়ণ উৎসব চলছে। উত্তরপ্রদেশে যৌথভাবে সে রাজ্যের সংস্কৃতি দপ্তরের আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল রামায়ণ অ্যান্ড বেদিক রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট অযোধ্যাতে ওই উৎসবের আয়োজন করেছে। সেখানে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, লাওস ও মরিশাসের মতো বিভিন্ন দেশের দল তাঁদের নিজস্ব ঘরানার নৃত্য শৈলীর মাধ্যমে রামায়ণের নানা কাহিনী তুলে ধরছে। এরই অঙ্গ হিসেবে অযোধ্যার নব নির্মিত রাম মন্দিরে শুক্রবার অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। জলপাইগুড়ির কন্যা পম্পি ইন্দোনেশিয়ার দলের হয়ে অংশ নেন। দলটি ইন্দোনেশিয়ার বালিনিস ও ভারতের ওডিশি নৃত্যের মেলবন্ধনে ‘পুরষোত্তম রাম’ এই থিমের ওপর নৃত্য পরিবেশন করছে।
উল্লেখ্য ইন্দোনেশিয়ার দলটিতে জলপাইগুড়ির ওই শিল্পী সহ কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। নির্দেশনায় রয়েছেন পদ্মশ্রী পুরষ্কার প্রাপক বালিনিজ নৃত্যের বিশিষ্ট শিল্পী ডঃ আই ওয়াইয়ান দিবিয়া। একক পরিবেশনার পাশাপাশি পম্পি সহ ইন্দোনেশিয়ার দলটি রামের রাজ্যাভিষেকের ওপর একটি দলগত নৃত্যও পরিবেশনও করেন।
উল্লেখ্য গত বছর ওডিসি নৃত্যে জুনিয়ার ফেলোশিপ পান জলপাইগুড়ির নিবেদিতা সরণীর পম্পি। সংস্কৃতির অঙ্গনে অবদানের জন্য ফি বছর সিসিআরটি-র পক্ষ থেকে সংস্কৃতি নির্ভর গবেষণার কাজে ফেলোশিপ দেওযা হয়ে থাকে। কেন্দ্রের ফেলোশিপ পেয়ে বর্তমানে তিনি ওডিশির সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বালিনিস নৃত্যের যোগসূত্রের ওপর কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।