খড়িবাড়ি: লোকসভা ভোটের আগে দুয়ারে র্যাশনে চাল, আটার বদলে দেওয়া হচ্ছে টাকা! এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল খড়িবাড়িতে। উত্তরবঙ্গ সংবাদের ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খড়িবাড়ির লেধারামজোত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি খাদ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত ইনস্পেক্টর উৎপল ঘোষকে মোবাইলে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘নগদ টাকা কোনওভাবেই উপভোক্তাকে দেওয়া যায় না। বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’
এদিন দুয়ারে র্যাশন প্রকল্পে লেধারামজোতে র্যাশন দেওয়া হচ্ছিল। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএইচএইচ কার্ডে মাসে মাথাপিছু ৩ কেজি চাল ও ২ কেজি আটা, আরকেএসওয়াই-১ কার্ডে মাথাপিছু ৫ কেজি এবং আরকেএসওয়াই-২ কার্ডে মাথাপিছু ২ কেজি চাল দেওয়ার কথা। এছাড়াও এএওয়াই (AAY) কার্ডে পরিবার পিছু ২১ কেজি চাল ও ১৪ প্যাকেট আটা বিনামূল্যে উপভোক্তাদের দেওয়ার কথা। কিন্তু দুয়ারে র্যাশন ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, খড়িবাড়ির বদরাজোতের ৩৭ নম্বর ডিলার ঝন্টু সরকার উপভোক্তাদের চাল-আটার পরিবর্তে নগদ টাকাও দিচ্ছেন।
চালের দাম কেজি প্রতি ২৮ টাকা এবং আটা কেজি প্রতি ২০ টাকা। এদিন এই হিসেব করে উপভোক্তাদের টাকা দিচ্ছিলেন ডিলার ঝন্টু সরকার। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপভোক্তারা। তাঁরা জানান, মার্চে ডিলার র্যাশন দেননি। শুধু স্লিপ দিয়েছিলেন। এদিন এপ্রিল মাসের র্যাশনের বরাদ্দ চাল-আটার সঙ্গে গত মাসের বকেয়া সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
ডিলার ঝন্টু সরকার অবশ্য সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন কর্মচারীরা র্যাশন দিচ্ছিলেন। মার্চ মাসের র্যাশন সামগ্রী দোকানে কম রয়েছে। তাই গত মাসের সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন খাদ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল ঘোষ।