শিলিগুড়ি: সঙ্গী পশুরাজ। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে রাতে গাড়ি চালাচ্ছেন না সাফারি পার্কের বনকর্মীরা। রাজ্য জু অথরিটির নির্দেশিকা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত। সারাদিন গাড়ি চালানোর পর রাতে বিশ্রাম নিচ্ছেন চালকরা। আবার ভোরের আলো ফুটতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন।
গত বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার সিপাইজলা চিড়িয়াখানা থেকে দুটি সিংহ এবং দুটি চশমামুখো বাঁদর নিয়ে রওনা হন সাফারি পার্কের বনকর্মীরা। রাতে বিশ্রাম নিয়ে গাড়ি চালানোয় রবিবার বিকেল কিংবা সোমবার দুপুরে সাফারি পার্কে এসে পৌঁছাবেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাফারির এক কর্তার বক্তব্য, ‘এর আগে রাতে গাড়ি নিয়ে আসায় একটা বড় বিপদ হয়েছে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাতে গাড়ি চালাতে মানা করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০ ডিসেম্বর জামশেদপুরের টাটা স্টিল জুলজিকাল পার্ক থেকে দুটি ম্যানড্রিল বাঁদর আনার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পার্কের ডিরেক্টরের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় গাড়ির চালকের। সহকারী চালক দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভোরের দিকে চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনা কি না, সেটা ভাবাচ্ছে বনকর্তাদের।
ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকে সাফারি পার্কের জন্যে কোনও প্রাণী আনতে হলে রাতে গাড়ি চালানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাই সিংহ নিয়ে সিপাইজলা থেকে রওনা হয়ে দিনেই গাড়ি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি সিংহর জন্যে একটি বিশেষ গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ওই ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স।