কোচবিহার: সময়ের ব্যবধান ঘণ্টা তিনেকের। আর দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এভাবে এত কাছাকাছি প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সভা, কে কবে কোথায় দেখেছেন, মনে করতে পারছেন না। তবে সেসব প্রশ্ন পরে। বৃহস্পতিবারের দুই সুপার হেভিওয়েটের কর্মসূচি নিয়ে আপাতত হিমসিম খাচ্ছে কোচবিহার(Cooch Behar) জেলার পুলিশ-প্রশাসন। মোদি(Narendra Modi) না মমতা, কার জনসভায় লোক বেশি হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের টার্গেট লক্ষাধিকের সমাবেশ। আর বিজেপির টার্গেট দেড় লক্ষ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মাথাভাঙ্গার গুমানিহাটে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা। সভা উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই গুমানিহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ। তার পাশেই গুমানিহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য, দমকল, পূর্ত, পরিবহণ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা লাল-নীলবাতির গাড়ি নিয়ে দফায় দফায় গুমানিহাটে এসে কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন।
আর কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে। তার আগে বেলা ৩টা ৫ মিনিটে কোচবিহার বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি রাসমেলা মাঠে গাড়িতে করে আসবেন। বেলা ৩টার পর প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠলেও বিজেপি কিন্তু বেলা ১২টা থেকে সভার কাজকর্ম শুরু করে দেবে। প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার জনসমাগমের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। রাসমেলা ময়দানে পাঁচটি জার্মান হ্যাঙ্গার বানানো হচ্ছে। তারমধ্যে একটিতে মূল মঞ্চ হচ্ছে। আরেকটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। বাকি তিনটির নীচে দর্শকরা বসবেন। মাঠে পাঁচটি এলইডি স্ক্রিন থাকছে।