নয়াদিল্লি: রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে গ্রাহ্য হবে শুধুমাত্র ডিএলএড এবং ডিএড। সুযোগ পাবেন না বিএড ডিগ্রিধারীরা। শুক্রবার বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। গোটা দেশজুড়ে এই নীতি কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে বিএড প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণত বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন। এদিকে ডিএলএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করা যায়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ডিএলএড এবং ডিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত। বিএড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করা হোক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এতদিন জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিএডরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিকেও সুযোগ পেতেন। এনসিটিই-র ওই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে দেশজুড়ে মামলা করেন ডিএলএডরা।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে রাজ্যের প্রাথমিকের চলতি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বহু বিএড উত্তীর্ণরাও আবেদন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশের ফলে অন্যান্য রাজ্যেও বহু চাকরিপ্রার্থী বিপাকে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর গত বছর একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সেই নির্দেশও খারিজ হয়ে গেল। তবে শিক্ষামহলের মতে, বিএড প্রশিক্ষিতদের ক্ষেত্রে আরও অনেক চাকরির সুযোগ থাকে। আর ডিএলএড প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র প্রাথমিক চাকরির জন্যই প্রয়োজন হয়।