উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ‘র্যাট-হোল মাইনিং’ পদ্ধতিতেই মিলল সাফল্য। বর্তমানে নিষিদ্ধ এই খনন পদ্ধতি ব্যবহার করেই দ্রুত উত্তরকাশীর টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা। টানেল দিয়ে বের করে নিয়ে আসা হল ৪১ জন শ্রমিককে। গত ১১ নভেম্বর থেকে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারাতে টানেলে ধস নামায় আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। যার মধ্যে বাংলার রয়েছেন ৩ জন। উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জের এক শ্রমিকও সেখানে আটকে আছেন।
গত ১৭ দিন ধরে এই শ্রমিকদের উদ্ধার নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। কখনও আশার আলো যেমন দেখা গিয়েছে কখনও তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে হতাশাও। শেষ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খননের অগার মেশিনটি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধারকারীরা। ঠিক করা হয়, ‘ইঁদুরের গর্তের’ মতো খুঁড়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করবেন উদ্ধারকারীরা। ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের এই পদ্ধতি ২০১৪ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল। এই পদ্ধতি যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেই তা কাজে আসে। কয়লা খনিতে এই ধরনের প্রক্রিয়া খুবই পরিচিত। এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ শ্রমিকেরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে খনিতে নামেন। অল্প জায়গা নিয়ে সরু গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে এগিয়ে চলেন।
উত্তরাখন্ড সরকারের নোডাল অফিসার নীরজ খরিওয়াল জানিয়েছেন, যে বিশেষজ্ঞদের ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁরা র্যাট-হোল মাইনার নন, তবে এই পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ। এমনই এক বিশেষজ্ঞ রাজপুত রাই জানিয়েছেন, একজন খনন কাজে যুক্ত থাকবেন একজন পাথরের টুকরো সংগ্রহ করবেন, অন্যজন সেগুলি ট্রলিতে ভরে বাইরে পাঠাবেন। এই পদ্ধতিতেই গতকাল সারারাত কাজ হয়। তাতেই অনেকটা এগিয়ে যায় খননকাজ। এদিন শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে পারেন উদ্ধারকারী দল ও বিশেষজ্ঞরা।