ডালখোলা: মোমো খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ বিহারের যুবক। ঘটনায় অভিযোগের তির ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ভাইপোর দিকে। গুরুতর আহত ওই যুবক বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাইসি থানা এলাকার ড্যাঙরাঘাটের বাসিন্দা তাহিবুর রহমান সহ তিন যুবক ডালখোলায় মোমো খেয়ে ফরসরা হয়ে বাড়ি ফিরছিল।
তাহিবুর অভিযোগ, তাঁরা যখন বাড়ি ফিরছিল সেইসময় রাস্তার উপর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ভাইপো প্রিন্স আহমেদ সহ কয়েকজন যুবক। তাদেরকে বাইক সরানোর করার কথা বলতেই তাহিবুর সহ তাঁর সঙ্গীদের উপর চড়াও হয় প্রিন্স সহ তার সঙ্গীরা। জানা গিয়েছে, প্রতিবাদ করলে তারা মারধর শুরু করে। এরপর প্রিন্স আহমেদ বাড়ি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে তাহিবুরকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি চালায়। যার একটি তাইবুর হাতে এসে লাগে অন্যটি তাঁদের গাড়ির সামনের কাচে লাগে। ঘটনার পর কোনরকম পালিয়ে বাঁচেন তাহিবুররা। এরপর স্থানীয় কয়েকজনকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে তাহিবুর সহ সকলকে উদ্ধার করে ডালখোলা থানায় এবং সেখান থেকে তাহিবুরকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তাহিবুরের হাতে গুলি লাগার থাকার কারণে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রিন্স আহমেদ ও তার সঙ্গীরা চম্পট দেয়। ফলে এখনও তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি। প্রিন্স বা তার সঙ্গীরা কেউ তাদের পূর্ব পরিচিত নয় বলে গুলিবিদ্ধ যুবক দাবি করলেও এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রিন্স আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগেও রেলগেট সংলগ্ন ফল মণ্ডিতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যের নাম উঠে আসার কারণে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। তবে এব্যাপারে পুরপতি স্বদেশ চন্দ্র সরকার সাফ জানিয়েছেন, অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যারা জড়িত সে যেই হোক না কেন তাদের কাউকে প্রশ্রয় দেবে না তৃণমূল। যদি কারও বিরুদ্ধে সমাজবিরোধী কাজের অভিযোগ আসে তবে প্রশাসনকে তা কঠোরভাবে দেখা উচিত। দল কখনই কোনও সমাজবিরোধীদের পাশে থাকবে না।