খড়িবাড়ি: দর্শক, প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতির মধ্যেই উদ্বোধন হল জেলা লোক সংস্কৃতি, আদিবাসী সংস্কৃতি ও যাত্রা উৎসব। শূন্যস্থান পূরণ করতে মঞ্চে ঠাঁই পেলেন তৃণমূলের ব্লক নেতারা। দার্জিলিং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাতাসি পিএসএ ক্লাবের মাঠে নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা পরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। সাড়ে ৪টার অনুষ্ঠান শুরু হয় সাড়ে ৫টা নাগাদ। তবুও দর্শকাসনে দর্শক, শিল্পী ও তৃণমূলের নেতাকর্মী মিলিয়ে মেরেকেটে ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক দার্জিলিং জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক কিংবা শিলিগুড়ি মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মঞ্চে ছিলেন না। মঞ্চে দেখা যায়নি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি, খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কিংবা রানীগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। খড়িবাড়ি ব্লকে জেলার অনুষ্ঠান অথচ ছিলেন না খড়িবাড়ি বিডিও। তিনদিনের এই উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খড়িবাড়ি পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিমল সিনহা, পঞ্চায়েত সমিতির কার্মাধ্যক্ষ প্রদীপ মিশ্রা ও রানিগঞ্জ পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তাপস মণ্ডল সহ আরও কয়েকজন নেতৃত্ব। বিরাট প্যান্ডেলে দর্শকাসনের সিংহভাগ চেয়ারই ফাঁকা ছিল। এরই মাঝে অস্বস্তিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর মাত্র দুই মিনিটের উদ্বোধনী ভাষণ দেন মেয়র গৌতম দেব। পরে মেয়র জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতী আরও সমৃদ্ধ হবে। আর এই অনুষ্ঠানে কে আছে কে নেই তা জানি না। আমাকে উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তার জন্য এসেছি। তবে আগামীকাল থেকে মানুষের ভিড় হবে বলে দাবি গৌতমের।