নয়াদিল্লি: ‘ইন্ডিয়া জোটের সদস্য দলগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলতে হবে।’ হায়দ্রাবাদে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। কংগ্রেসের বাংলা, পঞ্জাব এবং দিল্লি রাজ্য নেতৃত্বের কথা মনে রেখে সোনিয়ার এই প্রস্তাব বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিও ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও দিল্লিতে তৃণমূল-আপের মতো দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসকে সহযোগিতার মাধ্যমেই চলতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রস্তাব আকারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আজই হায়দ্রাবাদে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠক থেকেই ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সির মতো নেতৃত্ব এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
পশ্চিমবাংলা, কেরল, দিল্লি ও পঞ্জাবের মতো রাজ্যে কীভাবে কংগ্রেস বিজেপি বিরোধী দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে, তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। কেরল, পঞ্জাব, দিল্লিতে শাসক সিপিএম ও আপ দলের সঙ্গে সরাসরি বিরোধিতায় রয়েছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গেও বামেদের সঙ্গে মিলে তৃণমূলের বিরোধী ভূমিকাই পালন করছে কংগ্রেস। ফলে এই রাজ্যগুলি ইন্ডিয়া জোটের সার্বিক সমঝোতার পথে কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের। সেক্ষেত্রে বিকল্প কী হতে পারে তা নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চর্চা হবে। তবে বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়া গান্ধি যে সুর বেঁধে দিয়েছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে আপ বা তৃণমূলের মতো দলের বিরোধিতা করার সুযোগ কংগ্রেসের বাংলা, দিল্লি ও পঞ্জাবের নেতৃত্বের খুব একটা থাকছে না।