পঙ্কজ মহন্ত,বালুরঘাট: একে ঠান্ডা। তার ওপর মাধ্যমিকের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। পড়য়া এবং অভিভাবকেরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাদের সকলের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। ২৭ জানুয়ারি থেকে ওই কন্ট্রোল রুম চালু হয়ে যাবে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে একটি ই-মেলের ঠিকানা। এই ঠিকানায় মেল করতে হবে examwbhsset gmail.com। কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ৯১৪৭১৩৫৭৪৮। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং কলকাতার জন্য থাকছে কন্ট্রোল রুম। নম্বরগুলি যথাক্রমে ৯১৪৭১৩৫৭৪৭,৯১৪৭১১৩৫৭২, ৯১৪৭১৩৫৭৪৯।
আর দু’সপ্তাহ বাদে মাধ্যমিক। অভিভাবক এবং পড়য়াদের চিন্তার বিষয় মূলত দুটি। সময় এগিয়ে আনা এবং ঠান্ডা। বিগত বছরগুলিতে পরীক্ষা শুরু হত বেলা পৌনে ১২টায়। ফলে, ঘর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র দূরে হলেও পড়য়া বা অভিভাবকেরা খুব বেশি চিন্তায় থাকতেন না। আচকমা সময় প্রায় তিন ঘণ্টা এগিয়ে আনায় তাঁরা বেশ চিন্তায়।
বালুরঘাট হাইস্কুলের এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সোমসিন্ধু দত্ত বলেন, ‘পরীক্ষার দিন সকালে একটু হলেও বইয়ের পাতা উলটে পালটে দেখার সময় পাওয়া যেত। কিন্তু পৌনে দশটার সময় স্কুলে পৌঁছাতে গেলে সেই সময় আর পাওয়া যাবে না। আগের সময়টাই ঠিক ছিল।’
এদিকে আবার এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবছর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ১৮৫৯৯জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৯৫৩ জন, ছাত্রী ৯৬৪৬ জন। গত বছর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩,৮১৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬২২৭ জন ও ৭৫৮৭ জন ছাত্রী। এক বছরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হলেও সমস্যা অন্যত্র।
অভিভাবক অভিজিৎ সরকার জানান, ‘এবার শুনছি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। অনেকেই টোটো, অটো সহ মিনিবাসে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসে। সকালে দু’ঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে আসায় যাতায়াতে সমস্যা না হয় সেদিকটাও খেয়াল রাখা উচিত। সমস্যা সমাধানের জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আশা করা যায়, সমস্যায় পড়লে ফোন করলে সারা মিলবে।’
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) নিতাই চন্দ্র দাস জানান, ‘পরীক্ষা শুরুর সময় দু’ঘণ্টা এগিয়ে আনার নির্দেশিকা এসেছে। জেলার প্রতিটি স্কুলকে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের দেওয়া নম্বরের মাধ্যমে কোনও পড়ুয়া যাত্রাপথে সমস্যা, অসুস্থতা, চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’