উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের কাছে পরিষ্কার তারা জানিয়ে দিল নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। এদিন এসএসসির তরফে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দেওয়া হলফনামায় ওএমআর শিট কেলেঙ্কারি থেকে ব়্যাঙ্ক জাম্প করে কতজন চাকরি পেয়েছেন সেই তালিকা পেশ করে এসএসসি।
এসএসসি-র দেওয়া রিপোর্ট মোতাবেক, নবম দশমে র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন ১৮৩ জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ১২২ জনের চাকরি গিয়েছে। বাকি ৬১ জন এখনও চাকরি করছেন। একাদশ-দ্বাদশে র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি হয়েছে ৩৯ জনের। এরা প্রত্যেকেই এখনও চাকরিতে বহাল।
নবম দশমে ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি প্রাপকদের সংখ্যাটা ৯৫২ জন। একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৯০৭। এমনকি তাজ্জব হওয়ার কথা এসএসসির কোনও সুপারিশ ছাড়াই গ্রুপ-সি-তে ৫৭ জন চাকরি করছে, গ্রুপ-ডি তে এই সংখ্যাটা ১৭০। এদিন SSC হলফনামা দিয়ে আদালতে স্বীকার করেছে শুধুমাত্র ২০১৬ সালের পরীক্ষায় ৮৬১১টি পদে নিয়োগে কারচুপি হয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ব়্যাঙ্ক জাম্প করে, বাতিল হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে নিয়োগ করে, ও ওএমআর শিট কারচুপি করে দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে যারা পরীক্ষায় বসেইনি।
সম্প্রতি ডিভিশন বেঞ্চের কাছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া রিপোর্ট পেশ করে এসএসসি। যেখানেই ছত্রেছত্রে দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চাকরি না পেয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় ধর্নায় বসেছেন। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, ইডি। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জন্য বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রশ্নটাই এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তিনি জানান, এটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার, আবার নিরবচ্ছিন্নও। ২০২১ সালে ভোটের পর অনেক কিছু বদলেছে বলে দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে এসএসসিই যা বলার বলবে।