সানি সরকার, শিলিগুড়ি: চা মহল্লার মন জয়ের চেষ্টা। লোকসভা ভোটের মুখে ২৩টি ক্রেশ চালুর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ৮ মার্চ এই ক্রেশগুলো উদ্বোধন হবে। চা বাগানে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালুরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে একইসঙ্গে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্টহাউসে টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের বৈঠক হয়। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল সদস্য রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী বুলু চিকবড়াইক, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা প্রমুথ।
বৈঠকেই ক্রেশ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। পরে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘চা শ্রমিকদের কল্যাণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রেশ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এবং জিটিএ এই কাজ করছে। এদিন আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছি। ২৩টি ক্রেশ চালু করে দেওয়া হচ্ছে আগামী মাসে।’
’২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরেই উত্তরের চা বাগানগুলোতে ক্রেশ চালুর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। পরিকাঠামো গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর (এনবিডিডি) এবং জিটিএ-কে। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো শুধু গড়ে তুলছে এনবিডিডি। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলা মিলিয়ে ৪৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তারমধ্যে ১৩টির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মার্চ মাসে কাজ শেষ হয়ে যাবে ৪টির। ৮টি চা বাগান থেকে এখনও নো-অবজেকশন (এনওসি) পাওয়া যায়নি বলে দপ্তর সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, ৭৯টি ক্রেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। যার মধ্যে ২৩টির উদ্বোধন হবে ৮ মার্চ। এছাড়াও কাজ চলছে ৪২টির। ১০টির এনওসি এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এনওসি পাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশাবাদী শ্রমমন্ত্রী।
এদিন স্টেট গেস্টহাউসে মিনিমাম ওয়েজ অ্যাডভাইজারি বোর্ডের বৈঠকে যোগ দেন মেয়র গৌতম দেব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বুলু চিকবড়াইক। বৈঠক শেষে গৌতম জানালেন, বিড়ি শ্রমিক, ইলেক্ট্রিক শ্রমিক সহ নানা ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের পরে কলকাতায় পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হবে।