পুরাতন মালদা: পুরাতন মালদা শহরে গত পুর নির্বাচনের জয়ের লিড ধরে রাখা নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব। উনিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে ২০২২ সালের পুর ভোটে ওয়ার্ডভিত্তিক ভালো ফল করেছিল তৃণমূল(Trinomool)। তাকে পুঁজি করেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে(Lok Sabha Election) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইছে নেতৃত্ব। যদিও এনিয়ে দ্বিধাগ্রস্তও অনেকে। দলের একাংশে সেই সংশয়ও কাজ করছে। তাই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চটি বৈঠক করে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কোনও দলীয় কর্মী যাতে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে ভোট না করেন, সেই বিষয়ে দলীয় কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদি এমনটা হয় তাহলে দলীয় কর্মীকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। তবে কী ধরনের শাস্তি হবে তা এখনও ঠিক করেনি দল। বৃহস্পতিবার রাতে পুরাতন মালদা(Old Malda) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মার নেতৃত্বে একটি চটি বৈঠক হয়। সেখানে পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষ, উপপুরপ্রধান সফিকুল ইসলাম, দলীয় নেতা নবরঞ্জন সিনহা সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে দলীয় প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে এই পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে বিজেপি ভালো ফল করেছিল। বিধানসভা ভোটেও সেই ছাপ রেখে যায় বিজেপি। কিন্তু পুর নির্বাচনে তৃণমূল আবার নিজের অবস্থানে ফিরে আসে। দলীয় বৈঠকে সেই উদাহরণ তুলে কর্মীদের সতর্ক করেন তৃণমূল নেতারা। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের নিরিখে পুর নির্বাচন বিশ্লেষণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে, দলীয় কর্মীদের অন্তর্ঘাতেই বিজেপি শহরে মাথাছাড়া দিচ্ছে। ফলে এবার আগেভাগে সতর্ক তৃণমূল শিবির।
শহর তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলার শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে কোনও আঁতাত চলবে না। বৈঠকে আমরা দলীয় কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি। আমরা পুর নির্বাচনের জয় লোকসভায় ধরে রাখতে পারব। আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবে।’
এনিয়ে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র জয়ন্তী মণ্ডল বলেন, ‘এবার মানুষ তৃণমূলের বহিরাগত প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করবেন। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিজেপি লিড দেবে।’