উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত একবছর ধরে রাজ্য তোলপাড় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। শিক্ষামন্ত্রী থেকে একাধিক শিক্ষক বর্তমানে জেলে। এবার চিকিৎসক হওয়ার সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের র্যাংক কার্ড জালিয়াতি করে ভর্তি হতে এসে পাকড়াও ছাত্রী।
গতকাল থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এমবিবিএসের কাউন্সেলিং। কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালে তেমনি শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল শ্রেয়া হালদার একজন ছাত্রী আসেন এবং জমা করেন নিজের নথিপত্র। কিন্তু নথি খতিয়ে দেখার সময় দেখা যায়, র্যাংক মিলছে না। নিটে ওই ছাত্রীর র্যাংক হল ৪৪৫৯৭৩। এখানে যে র্যাঙ্ক দেখাচ্ছে তাতে ৯ সংখ্যাটাই গায়েব। তারপরে র্যাংক হয়েছে ৪৪৫৭৩। সুতরাং মিলছে না কিউআর আইডি কোড। এমনকি ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে অ্যালটমেন্ট লেটার তিনি এনেছিলেন তাতে যে ডেট রয়েছে সেটাও থাকার কথা নয়। বদল ঘটেছে মেডিক্যাল কলেজের নামেও।
এইসব বিষয় নিয়ে সন্দেহ হয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। দ্রুত তাঁরা যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্যভবনে। স্বাস্থ্যভবন সুত্রে স্পষ্ট জানান হয় র্যাংকটি ভুল। ঘটনা সামনে আসতে ছাত্রী ও তার বাবাকে ভর্তি ফি ও অরিজিনাল সার্টিফিকেট ফেরত দেয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এবিষয় নিয়ে কল্যাণী থানায় অভিযোগ জানান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতেই কল্যাণী থানার পুলিস ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে কল্যাণী আদালতে পেশ করা হয়। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত ছাত্রী ও তার বাবা। ইতিমধ্যেই ধৃত ছাত্রীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৫ টি ধারায় মামলা করা হয়েছে।