উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছর এই সময়টায় নাজেহাল হতে হয় জ্বরের জ্বালায়। শরৎকালে যেহেতু ঝট করেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, তাই জীবাণুর বাড়বৃদ্ধিও হয় খুব দ্রুত। তাছাড়া মশাবাহিত রোগ তো আছেই! জল জমে থাকে যেখানে সেখানে, তাতে মশার বংশ তরতরিয়ে বাড়ে। অনেক পরিবারেই বয়স্ক মানুষরা বাচ্চাদের নিয়ে বিকেলবেলা পার্কে যান৷ সেক্ষেত্রে তাঁরা যেন পুরো শরীর ঢাকা পোশাক পরে থাকেন, সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করুন৷ হাতের কাছে রাখুন সিট্রোনেলা তেল। সুগন্ধি এই তেলও ঠেকিয়ে রাখবে মশা বা কোনও পোকামাকড়কে। ‘‘ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি বা চিকুনগুনিয়ার মতো কিছু কিছু ভাইরাল জ্বর মশা কামড়ানোর কারণেই হয়। তাই আপাতভাবে জ্বর হলেই সেটা ঠিক কোন কারণে হয়েছে, সেটা ধরা মুশকিল।
জ্বর হলে ফেলে রাখবেন না। একেবারে প্রথম থেকেই শরীরে যেন তরলের জোগান ঠিক থাকে, সেটা দেখতে হবে। জল তো বটেই, ডাবের জল, ফলের রস পান করুন প্রচুর পরিমাণে৷ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না৷ পুষ্টিকর, সহজপাচ্য খাবারও খেতে হবে৷ ভাইরাল ফিভার দিন তিনেকের মধ্যে কমতে থাকে, শরীরও ক্রমশ ভালোর দিকে যায়৷ ডেঙ্গি হলে কিন্তু এত সহজে নিষ্কৃতি মিলবে না৷ একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে যদি আপনি রক্ত পরীক্ষা করান, তা হলে ডেঙ্গি ধরা না পড়ারই কথা। জ্বর আসার চারদিন পরে ডেঙ্গির আইজিএম পরীক্ষা করালেও সেটা নেগেটিভ আসার চান্সই বেশি। ডেঙ্গি হলে মোটামুটি ৮-১০ দিনের একটা চক্র চলে। নিয়ম হচ্ছে, জ্বর আসার পাঁচদিন পর এই পরীক্ষাটা করানো।
যাঁরা ডায়াবেটিস, হার্ট বা কিডনির অসুখে ভুগছেন, বা আগেও কখনও ডেঙ্গি হয়েছে, তাঁদের খুব সাবধানে রাখতে হবে৷ দাঁতের মাড়ি, মল বা মূত্রের মধ্যে দিয়ে রক্তপাত হলে খুব সাবধান, রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট কমে গেলেই তেমনটা হয় সাধারণত৷ যদি মনে হয় পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যাচ্ছে, তা হলে দেরি না করে হাসপাতালের দ্বারস্থ হোন।