উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাতে ঘুম আসতে দেরি হয় বলে মোবাইলে চ্যাট করেন বা সিনেমা দেখেন? ঘুম এলেও তা গাঢ় হয় না কখনওই? দুটোই কিন্তু অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার লক্ষণ হতে পারে৷ এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা অ্যালার্জির কারণে নিশ্চিন্তে শুয়ে ঘুমোতে পারেন না বা ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় বলে মাঝরাতে বুক ধড়ফড় করে ঘুম ভেঙে যায়। তাই অনিদ্রার সমস্যাটাকে হালকাভাবে নেবেন না, তা অন্য কোনও রোগের উপসর্গ কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যথাযথ ঘুম না হলে বাড়ে স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। তারজন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কী কী করবেন:
রাতে ঘুম আসছে না বলে ল্যাপটপ বা মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকবেন না। তাতে ঘুমের আরও বেশি সমস্যা হবে। বরং বই পড়তে পারেন, মৃদু স্বরে গান শোনাতেও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যে সব গ্যাজেট থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়, তা থেকে দূরে থাকুন ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে থেকে। ঘুমোতে যাওয়ার একটা সময় নির্দিষ্ট করুন, সপ্তাহান্তেও সেই সময়টাই মেনে চলার চেষ্টা করুন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান এবং ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁদের সাধারণত ঘুমের সমস্যা তেমন ভোগায় না। মাঝে-মধ্যে রুটিনের এদিক-ওদিক হতে পারে, কিন্তু নিয়মভাঙাটাকেই অভ্যেসে পরিণত করলে মুশকিল।
ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে নিন। রাতে খুব ভারী কিছু না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যাঁদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আছে, তাঁরা হালকা খাবার খান। রাতে শুতে যাওয়ার আগে উষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন। তাতে সাধারণত ঘুম ভালো হয়।
কী কী করবেন না:
দিনেরবেলা ঘুমোনোর অভ্যেস করবেন না। তাতে রাতে ঘুম আসতে দেরি হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন খাবেন না। ধূমপান থেকেও দূরে থাকুন। ধূমপান ঘুম আসতে দেয় না।