সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: মঙ্গলবার বালুরঘাট (Balurghat) এবং রায়গঞ্জে (Raiganj) সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিধি ভেঙে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি তৃণমূলের এই দুই সর্বোচ্চ নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধের দাবি তুলেছেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে।
সোমবার বালুরঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চিফ সেক্রেটারিকে উপভোক্তাদের সহায়তা করতে বলেছে। কিন্তু এ নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ম ভাঙায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি কমিশনের কাছে।’
পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতদের পশ্চিমবাংলায় গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, ‘বিজেপি সংকল্পপত্রে ভারতবর্ষকে ওয়েডিং ডেস্টিনেশন হিসেবে ও অযোধ্যা নগরী ধাঁচে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে সন্ত্রাসবাদীদের ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। নইলে এমন কুখ্যাত জঙ্গিরা রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াল, অথচ পুলিশের কাছে খবর পর্যন্ত ছিল না। পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মোদিজি বালুরঘাটে প্রথম আসবেন। এরপর রায়গঞ্জে যাবেন। আগামীকাল বালুরঘাটে মোদি ঝড় হবে। রাস্তায় তৃণমূল বাদে সবাই মাঠে থাকবে। সবাইকে বলব, তাড়াতাড়ি মাঠে যাওয়ার জন্য। নাহলে পরে আর জায়গা থাকবে না।’
সুকান্তর অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল পালটা কটাক্ষ করে বলেন, ‘মোদিকে এনেও এবার বিজেপির কোনও লাভ হবে না। জেলার মানুষ নয়, সভা ভরাতে জেলার বাইরে এবং এমনকি রাজ্যের বাইরে বিহার থেকে লোক আনা হবে। গত পাঁচ বছরে সুকান্তবাবুরা কিছুই করতে পারেননি। যা করেছে রাজ্য সরকারই করেছে।’