বামনগোলা: সোমবার সকালে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসলেন এক গৃহবধু। ঘটনার জেরে এদিন সকালে ব্যাপক শোরগোল পড়ে মালদার বামনগোলা(Bamongola) এলাকায়। বামনগোলার স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় কৃষক সুভাষ হেমব্রম প্রায় ১৩ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন বংশীহারির এক তরুণীকে। পারিবারিক সমস্যার কারণে বিয়ের পর স্ত্রীকে বাড়িতে তুলতে পারেননি সুভাষবাবু। ফলে তাঁরা আলাদা সংসার পাতেন। বর্তমানে ১২ বছরের এক ছেলে রয়েছে দম্পতির।
কিন্তু অভিযোগ, রুপাহারে থাকাকালীন ২০২০ সালে পরকীয়ায় জড়িয়ে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বামনগোলায় নিজের বাড়িতে চলে আসেন ওই কীর্তিমান স্বামী। পরে আর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি সুভাষ হেমব্রম। ফলে ছেলেকে নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েন ওই গৃহবধু। এদিকে সুভাষবাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর স্বামী সুফল মার্ডি পরিত্যাক্তা স্ত্রীকে পাল্টা বিয়ের চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ। সামাজিকভাবে এক ঘরে হয়ে বংশীহারী ও বামনগোলা থানার দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুফল পাননি ওই গৃহবধূ। ফলে বাধ্য হয়ে স্বামী-স্ত্রীর ছবি ও ম্যারেজ সার্টিফিকেট হাতে এদিন শ্বশুরবাড়িতে এসে ধর্নায় বসেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ২ ঘন্টা পরই ধরনা থেকে উঠে যান ওই গৃহবধু। তিনি জানান, স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে তিনিও স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চান। এবিষয়ে বামনগোলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।