শিলিগুড়িঃ রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলায় ধ্বংসলীলা চালিয়েছে বিধ্বংসী ঝড় ‘মিনি টর্নেডো’। এই ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫ জনের আহতের সংখ্যা শতাধিক। এদিন রাতেই চার্টার্ড বিমানে বাগডোগরায় আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি পৌছে যান জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়িতে। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি আসা নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
এদিন জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূলের কর্মচারিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, বাংলার মেয়ে গভীর রাতে জলপাইগুড়িতে। আর ঘুমোচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। ‘তু খিঁচ মেরি ফোটো’র প্রয়োজন হয়না বিজেপির। তৃণমূলের কাছে প্রচুর অর্থ রয়েছে, যেগুলো অবৈধভাবে তৃণমূলের ফান্ডে ঢুকেছে। সেই টাকায় চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া করা সম্ভব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু বিজেপির পক্ষে যেহেতু সেই সামর্থ নেই তাই কমার্শিয়াল বিমানের ওপরেই ভরসা করতে হয়।”
এদিনের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলার হাজার হাজার ঘর। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্র বাংলাকে ৪২ লক্ষ বাড়ি বানানোর জন্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই কাজের দায়িত্ব ছিল রাজ্যসরকারের হাতে। কিন্তু সেই টাকায় বাড়ি না বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূল নেতারা।”
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে সোজা চলে যান জলপাইগুড়িতে। সেখানে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ঝড়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।