চেন্নাই: স্কুল জীবনে তাঁর সহপাঠী নন্দিনীকে ভালোবেসেছিল পান্ডি মুরুগেশ্বরী। কিন্তু তাঁরা ছিলেন সমকামী। পরে নন্দিনীকে বিয়ের জন্য লিঙ্গও পরিবর্তন করে পান্ডি। নাম হয়, ভেত্রিমারণ। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেননি নন্দিনী। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। আর এতেই ক্ষেপে গিয়ে সহপাঠীকে খুন করে ভেট্রিমারান! দক্ষিণ চেন্নাইয়ের থালাম্বুরে ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকে নন্দিনীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করত মুরুগেশ্বরী। লিঙ্গ পরিবর্তনের পর ভেট্রিমারানের সঙ্গে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন সহপাঠী। তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আট মাস আগে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থায় চাকরি পেয়েছিলেন নন্দিনী। মামার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। গত ২৪ ডিসেম্বর ভেট্রিমারান ফোন করেন। নন্দিনীকে দেখা করতে বলে সে। ওইদিন ছিল তার জন্মদিন। সহপাঠীর ফোনে সাড়া দিয়ে দেখা করেছিলেন নন্দিনী। ফেরার পথে চেন্নাইয়ের পোনমারের কাছে একটি নির্জন জায়গায় বাইক দাঁড় করায় অভিযুক্ত। নন্দিনীর একটি ছবিও তুলেছিল সে। এরপর সঙ্গে থাকা একটি চেন দিয়ে নন্দিনী হাত ও পা বেঁধে ফেলে বলে অভিযোগ। যুবতীর গায়ে সে পেট্রোল ঢেলে দেয়। এরপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নন্দিনীর চিৎকারে আশপাশ থেকে ছুটে আসে পথচলতি মানুষ। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নন্দিনীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ নন্দিনীর কাছ থেকে একটি ফোন নম্বর উদ্ধার করে। সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।