রাজগঞ্জ: রাজগঞ্জ (Rajganj) ব্লকের সুখানি (Sukhani) গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবপাড়া এলাকার কেএলএসটি অ্যান্ড অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড চা বাগানটি (Tea Garden) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। গত শনিবার কাজ বন্ধের নোটিশ দিয়ে মালিকপক্ষ হঠাৎ করেই বাগানটি বন্ধ করে দেয়। এরফলে বাগানের ওপর নির্ভরশীল ৩৫টি পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
ওই চা বাগানের সমস্ত শ্রমিক (Tea Worker) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। বাগানের সমস্ত জমি তাঁদেরই পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। কাজ দেবে বলেই তাঁরা ওই জমি মালিকপক্ষের কাছে বিক্রি করেছিলেন। বাগানের এক শ্রমিকের দাবি, মালিকের বাগান চালাতে যদি খুবই সমস্যা হয়, তাহলে তাঁরা যে দামে জমি বিক্রি করেছিলেন সেই দাম দিয়ে বাগান কিনে নিতে ইচ্ছুক। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের বাগান ইউনিট কমিটির সভাপতি জয়নুল ইসলামের অভিযোগ, ‘মালিকপক্ষ কোনওরকম আলোচনা না করে ইদের ঠিক পরের দিন কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে।’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বাগান খোলা না হলে পরবর্তী সোমবার থেকে আমরা নিজেরাই পাতা তুলে বিক্রি করব।’
সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ওই বাগানটি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোশারফ হোসেনও। তাঁর কথায়, ‘এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত আকারে এবং ডিএলসিকে ফোনে জানিয়েছি।’
রমজান মাস চলাকালীন শ্রমিকরা টানা আটঘণ্টা করেই বাগানে কাজ করছিলেন। বাগান কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই তাঁদের দুইবেলা কাজের কথা বলে। এই নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধে। যদিও ইদের পরে দু’বেলা কাজ করার পক্ষে ছিলেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করে একতরফাভাবে বাগান বন্ধের নোটিশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কেএলএস চা বাগানের মালিক চন্দন রায় এবং ম্যানেজার সুমন দে-কে বিভিন্ন সময়ে বারবার ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি।