কালিয়াচক: প্রায় ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেছিল এক কিশোরী। বিয়ের পরই শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী(Suicide) হল ওই কিশোরী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম আসিফা পারভিন(১৭)। তাঁর বাবার বাড়ি কালিয়াচকের বামন গ্রামে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল পাশের গ্রাম মসিমপুরে। আসিফা পারভিন নয় মৌজা সুবহানিয়া হাই মাদ্রাসার(Madrasa) একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ মাস আগে একই অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী গ্রাম মসিমপুর পোস্ট অফিস পাড়ায় শাহবাজ শেখের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় আসিফার। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। পারিবারিক অশান্তির কারণেই কয়েক মাস আগে সে চলে আসে বাবার বাড়িতে। কিছুদিন থাকার পর আবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পর আবার পরিবারে অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে আবার ওই গৃহবধূ নিজের বাবার বাড়ি চলে আসেন। তারপরেই শুরু হয় সালিশি সভা বসানোর প্রক্রিয়া। কিন্তু সালিশি সভা বসানোর আগেই রবিবার ভোরে বাবার বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নাবালিকা। ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরেই মৃতদেহ উদ্ধার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ(Police)।
মৃতার বাবা সাদেক আলির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।