মুর্শিদাবাদ: মনোনয়নপত্র দাখিল প্রক্রিয়ার প্রথমদিন থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিডিও অফিসে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়নের শেষ ধাপ সম্পন্ন করার কাজ করতে এলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কাগজপত্র নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সামনেই। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন তুলতে চাপ সৃষ্টি করছে। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের পর থেকেই তা প্রত্যাহারের হুমকি আসছিল রাজ্যের শাসক দলের তরফে। এদিন বি-ফর্ম জমা দিয়ে প্রতীক নেওয়ার কাজ করতে বিডিও অফিসে এসেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। অভিযোগ, সেইসময় কংগ্রেস প্রার্থীদের হাত থেকে ফাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের।
কেন কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মীদের মারা হয়েছে? প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়ে তাঁরা এখানে এসেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারপরও কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে নির্বাচন থেকে। মনোনয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না, তার প্রতিবাদে এই ধর্না কর্মসূচি।
তিনি আরও জানান, বিডিও অফিস সর্বসাধারণের। প্রার্থীরা মনোনয়নের পর বি-ফর্ম জমা করতে এসেছেন দলের প্রতীক পাওয়ার জন্য। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এমন করেছে। এদিন প্রতীক পাওয়ার শেষদিন জেনে প্রথমে ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় কংগ্রেস কর্মীদের। এরপর গাড়িতে হামলা করে কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। এত বাধা পেরিয়ে বিডিও অফিসে আসলেও সেখানেও হার্মাদবাহিনী প্রার্থীদের হাত থেকে ফাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। বিরোধী পক্ষ যাতে না থাকে সে কারণেই এমন পরিকল্পনা বলে অভিযোগ অধীরের। যদিও তৃণমূলের তরফে এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।